Monday, March 14, 2016

বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকটির অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে অভিযোগ দিয়ে ব্যাপক ঝারি খাচ্ছি।



আমি বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকটির অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারপর আমি কয়েকদিন ফোনে যোগাযোগ করি। কোন সাড়া না পেয়ে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে যাই। শুনলাম যে গর্ভনর চিঠিটি পাবার পর পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপর যাই সেই চিঠির সূত্র ধরে তদন্তকারী দায়িত্বশীল বিভাগে যেখানে গর্ভনর চিঠি পাঠিয়েছেন। তারা তো মহা ক্ষ্যাপা আমার উপর। আমার কি লাভ? ব্যাংক টাকা নিলে আমার সমস্যা কি? তারপর অনেক পর বুঝলাম। যে তাদের নাকি কোন এখতিয়ার নেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবার।

তদন্তের জন্য যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি আমাকে বলে গর্ভনর কেন আমার কাছে মেইল দিয়েছে? কি জানেন। আমি গর্ভনরের জ্ঞানের পরিধি নিয়ে কিছু না বলে বললাম কি করা যায় তাই একটু বলেন। বলল আপনি গিয়ে তদন্ত করেন গ্রাহক হিসেবে তাদের কত টাকা লেনদেন হয়। কোন ব্যাংকে হয়। কতজন গ্রাহক। যে ব্যাংকে টাকা জমা হয় তার বিস্তারিত তথ্য। আমি তাকিয়ে আছি সেই কর্মকর্তার দিকে। বার বার মনে হচ্ছিল তিনি ভিন্ন কোন গ্রহ থেকে আসা লোক। আমি চাইলেই সকল তথ্য একটি ব্যাংক দিয়ে দিবে !!!!

এসে স্থানীয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে চিঠি দিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে জানলাম যে তারাও স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছে। এবার স্থানীয় প্রশাসনকে ফোন দিন দেখেন তারা কি করে। আমি ফোন দিয়ে শুনলাম পুলিশ মহাক্ষ্যাপা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ তারা কেন করবে। আর আমি কেন অভিযোগ দিলাম তাতে তিনি মহাক্ষ্যাপা। আমি অভিযোগকরী হই কি করে। আমাকে তো ঝারি আর ঝারি। এত ঝারি শুনার পর আমি সিটিজেন রিয়েল এস্টেট ব্যাংককের কার্যক্রম নিয়ে আবারও চিঠি লেখার প্রস্তুতি নিয়েছি।

যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক কেউ জানেন না কার কাছে অভিযোগ জানানো যায়। আর কে এই অবৈধ কার্যক্রম রুখার দায়িত্বে আছেন। তাই আমজনতার সাহায্য চাই। আমাকে বলুন আমি আপনাদের সহযোগিতায় চেষ্টা চালাতে চাই।

শেষ কথা হারা যাবে না। স্থানীয় মানুষগুলোর আমানত রক্ষায় এই ব্যাংকের কার্যক্রম অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তাই আপনাদের পরামর্শ চাই।

No comments:

Post a Comment