Tuesday, July 7, 2015

খেলার মাঠে, মেলা নয়।

“খেলার মাঠে মেলা নয়” এটি আইন। বিগত সময়ে এই আইনের ভিত্তিতে আদালত বেশকিছু মাঠে মেলা বন্ধ করার নির্দেশ ও দিয়েছেন।

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০ এ খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তনে বাধা-নিষেধ প্রসঙ্গে  বলা আছে,

৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷

কিন্তু শ্যামলী খেলার মাঠ যেন আইন আদালতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে এখানে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজারখানি বাতির আলোতে আলোকিত হয় মাঠ মেলা উপলক্ষ্যে। বিদ্যুৎ আসে সরকারী লাইন থেকে। পুরো দেশ কিছু মানুষের জন্য মগের মুল্লুক। তারা যা চায় তার জন্য আইন স্থবির হয়ে যায়।

আপনার আমার নিরবতায় এই মানুষগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা কন্ঠ ছাড়ি জোরে । তারা পালাতে বাধ্য হবেই।

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০।

 ধারা ৫
৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷




মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০

Monday, July 6, 2015

প্রত্ন সম্পদ রক্ষায় মীর জাফরদের চিনে রাখুন।

লালবাগ কেল্লার দেওয়াল ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি থামানো হয়েছে। এটি অবশ্যই জনগণের বিজয়। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরই যে শুধুমাত্র এই অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিল তা নয়। এই অপকর্মের যারা প্রধান তারা অধিকাংশ দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও বিদেশ থেকে কয়েক ডজন ডিগ্রীধারী লোকরা। কেল্লার দেওয়া ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি করার জন্য যে বিশেষজ্ঞ কমিটি মতামত দিয়েছেন । তার এখন গর্তে ঢুকে দায় এড়াতে চাচ্ছেন। তারা টকশোতে নীতি নৈতিকতার ঝড় তুলেন। আর ফেরার পথে কেজি ধরে বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ বিক্রি করে দেন। 

বিশেষজ্ঞ কমিটির ভদ্রলোদের তালিকাটা প্রকাশ করা দরকার। তারা সকলেই দাবী করেন তারাই দেশের একমাত্র বুদ্ধিজীবি। ইতিহাসবিদ, স্থপতি, প্রত্নতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির তালিকাটা জনসাধারনের কাছে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই ভাঙ্গা হয়েছে কেল্লার দেওয়াল ও গড়ে তুলা হয়েছিল পার্কিং।

আপনি আমি এই ভেবে নিশ্চিন্ত আছি, যে এই টকশোবাজ,বুদ্ধিজীবি, ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদরা আর যাই করুক দেশের ঐতিহ্য বিনিষ্ট হতে দিবে না।

কিন্তু তাদের অন্যরূপ আমরা দেখিনি। তাদের মত কোন কোন ভদ্রলোকরাই আমাদের প্রত্ন সম্পদ যুগে যুগে পাচারে ইন্ধন বা সমর্থন নিয়ে এসেছে । তাদের মত কোন বুদ্ধিজীবির বুদ্ধি বেচেই ফ্রান্সের গিমে যাদুঘর প্রত্ননির্দেশন সমর্থন জোগায়।

আর যদি কোন বুদ্ধিজীবি বলে “আমি তো কমিটিতে থাকতে চাই লোকজনের দাবীর কারণে থাকি। কিংবা আমি তো জানিই না কি করে হয়ে গেল” স্যার ভদ্রলোক আপনার দায় স্বীকার করে কেটে পড়ৃন। দেশের প্রত্নসম্পদ রক্ষায় আপনারই মূল মীরজাফর।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভদ্রলোক বিশেষজ্ঞদের হয়তবা কোন বিচারই হবে না এই অপকর্মের জন্য। কারণ বিচারের জন্য যারা কন্ঠ ছাড়বে তারাই তো বুদ্ধিজীবি। এই বুদ্ধিজীবির তালিকাটা জনগণের সামনে থাকলে আর যাই হোক প্রতিরাতে টকশোতে যখন তাকে দেখবেন। তার স্মরণে একটু হলেও থুতু ফেলে দিতে পারেন আপনার টয়লেটে।

জনাব বিশেষজ্ঞ
ইনবক্সে আপনার গালি গ্রহণযোগ্য। আর আমি আপনার মতামতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং আপনার ইনবক্স জনতার কাছে উমুক্ত করব না। তবে নামের তালিকা কিন্তু জনগণ চাইলেই দেখতে পারে। এটা জনগণের অধিকার। আপনাদের বুদ্ধি বেচার দিন শেষ হবে, একদিন।
শুভ কামনা।
ছবি ইন্টারনেট।

ঈদ আয়োজনে শিশুদের পরিচয় হোক, সে শিশু।

ছবি ইন্টারনেট
আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকগুলো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেলাম। ফেইসবুক, ইমেইল এবং ডাকযোগে। বেশির ভাগ পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠান। আয়োজকরা সবাই তরুন/তরুনী এবং তরুণদের সংগঠন। ধন্যবাদ আপনাদের এই আয়োজনের জন্য।

অনুষ্ঠানগুলোতে পথশিশুদের পোষাক বিতরণ, টোকাইদের সাথে ঈদ উৎসব, পরিত্যাক্ত শিশুদের পোষাক বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের পোষাক বিতরন, কেউ কেউ বা তাদের আয়োজনের শিরোনাম দিয়েছেন পতিতাদের সন্তানদের ঈদ পোষাক বিতরণ।

আমি নিজেও আগে এই রকম ব্যানারেই কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের উচিত এই শব্দগুলোর ব্যবহার বন্ধ করা। পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শব্দগুলো আমাদের বৃহৎ কর্মকান্ডগুলোকে ছোট বিন্দুতে আবদ্ধ করে ফেলছে। সারাবছর যে নামেই তাদের পরিচয় হোক না কেন। বছরের একদিন যে ঈদকে ঘিরে আপনার আয়োজন সেইদিন শিশুর পরিচয় হোক, সে শিশু।

পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শবদ্ধগুলো তাদের স্বাভাবিক ঈদ উৎসবটাকে ম্লান করে দিতে পারে। আমরা হয়তো একটা পোষাকই দিব। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের কাছে কোনভাবেই আমরা শিশুদের পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান বলে পরিচয় করে দিতে পারি না।

আসুন ব্যানারগুলো যদি সম্ভব হয় আজই ঠিক করে নেই। তা না হলে আগমীবার ঠিক করার প্রস্তুতি রাখি।
আপনাদের কর্মকান্ডে আমি মুগ্ধ এবং আমাকে যারা অনলাইলে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শিশুদের পোষাক বিতরণ অনুষ্ঠান সফল হোক।

শুভ কামনা রইল।