Wednesday, January 6, 2016

নদীত গিয়ে লাভ কি, আসুন বনে যাই। বনে যেতেও ভয় হয়। আমি ভীতু মানুষ।

 

 সন্ধ্যা হবার একটু বেশি আগেই এখানে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বিদ্যুৎ এর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে ওঠেনি জীবন যাত্রা। হাতের ঘড়ি থেকে সূর্য ঘড়িটাই প্রভাব বেশি এই মানুষগুলোর জীবনে।

শিয়ালের হাক-ডাক দিনের আলো নিভে যাওয়ার সাথে সাথে শুরু। শহুরের শীত নয়, এখানে শীতটা কিছুটা ক্ষ্যাপাটে। শীতের একটা ভিন্ন রূপ আছে এখানে।

নদীর পাশেই বন কিংবা বনের পাশে নদী। যাই বলি না কেন। তার মাঝখানেই থাকার জায়গা। ঘরটা মন্দ নয়। ঘর থেকে বের হলেই নদী অথবা বন। কোথায় যাবেন?

এই ঠান্ডায় নদীত গিয়ে লাভ কি, আসুন বনে যাই। বনে যেতেও ভয় হয়। আমি ভীতু মানুষ।
আর কয়েকজন মানুষ হলে ভাল হত। আসে পাশে একটা সাহসী মানুষ থাকলে বনের রাতের রূপটা দেখা যেত।
নাহ ঢাকা থেকে খুব দূরের কোন গ্রাম কিংবা গহীন অরণ্য নয়। ঢাকার পাশেই পেতে পারেন এই স্বাদ। শীতকে কাবু করে রাত তো অনেক কাটিয়েছেন কম্বল মুড়ি দিয়ে। একটু শীত উপভোগ করার সুযোগটাও হয়নি জীবনে, তা কি করে হয়।
যদি আমার চেয়ে আপনার সাহস বেশি থাকে। যদি মনে হয় স্লীপিং ব্যাগটায় ঘুমিয়ে পার করে দিতে পারবেন রাত কোন অভিযোগ ছাড়াই ।

তবে শুক্র/শনিবার বাদ। কারণ বন্ধের দিনে এই একরুমের বাংলোর কোনভাবেই ফাঁকা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে কর্মদিবসে এখানে ফাঁকা । রাতগুলো আরো গভীর অন্ধকার হয়ে ফিরে আসে। আগামী জোছনায় কয়েকটা সাহসী মানুষ ভাড়া করে নিয়ে যেতে চাই।থাকার জন্য কোন ভাড়া দিতে হবে না। শুধুমাত্র যাতায়াত ভাড়া আর যার যার খাবার বিলটা নিজে দিয়ে দিবেন।

রাজি থাকলে ইনবক্সে জানিয়ে রাখুন। নিরাপত্তার বিষয়ে বলে রাখি শতভাগ নিরাপদ। কারণ ঘুমের মাঝে ভূমিকম্প হলেও আপনি দেয়াল চাপা পড়ে মরবেন না। আর চোর ডাকাত ???? খুব কাছাকাছি বাড়িটাও মাত্র ১.৫ দূরে। আপনার হাত ঘড়ির টিক টিক শব্দ, শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ ছাড়া অন্য সকল শব্দই প্রকৃতির সৌন্দর্য রূপে গণ্য সেখানে।

ভয়ে ভয়ে আমি একটা বুকিং দিয়ে দিলাম। গত জোছনার মত আশা করি এই জোছনাও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খুব বেশি ভয় পাবার কারণ নেই। কারণ ওখানে ছবি এই বাসিন্দরা থাকে বহু বছর ধরে।

No comments:

Post a Comment