Monday, July 6, 2015

প্রত্ন সম্পদ রক্ষায় মীর জাফরদের চিনে রাখুন।

লালবাগ কেল্লার দেওয়াল ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি থামানো হয়েছে। এটি অবশ্যই জনগণের বিজয়। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরই যে শুধুমাত্র এই অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিল তা নয়। এই অপকর্মের যারা প্রধান তারা অধিকাংশ দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও বিদেশ থেকে কয়েক ডজন ডিগ্রীধারী লোকরা। কেল্লার দেওয়া ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি করার জন্য যে বিশেষজ্ঞ কমিটি মতামত দিয়েছেন । তার এখন গর্তে ঢুকে দায় এড়াতে চাচ্ছেন। তারা টকশোতে নীতি নৈতিকতার ঝড় তুলেন। আর ফেরার পথে কেজি ধরে বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ বিক্রি করে দেন। 

বিশেষজ্ঞ কমিটির ভদ্রলোদের তালিকাটা প্রকাশ করা দরকার। তারা সকলেই দাবী করেন তারাই দেশের একমাত্র বুদ্ধিজীবি। ইতিহাসবিদ, স্থপতি, প্রত্নতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির তালিকাটা জনসাধারনের কাছে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই ভাঙ্গা হয়েছে কেল্লার দেওয়াল ও গড়ে তুলা হয়েছিল পার্কিং।

আপনি আমি এই ভেবে নিশ্চিন্ত আছি, যে এই টকশোবাজ,বুদ্ধিজীবি, ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদরা আর যাই করুক দেশের ঐতিহ্য বিনিষ্ট হতে দিবে না।

কিন্তু তাদের অন্যরূপ আমরা দেখিনি। তাদের মত কোন কোন ভদ্রলোকরাই আমাদের প্রত্ন সম্পদ যুগে যুগে পাচারে ইন্ধন বা সমর্থন নিয়ে এসেছে । তাদের মত কোন বুদ্ধিজীবির বুদ্ধি বেচেই ফ্রান্সের গিমে যাদুঘর প্রত্ননির্দেশন সমর্থন জোগায়।

আর যদি কোন বুদ্ধিজীবি বলে “আমি তো কমিটিতে থাকতে চাই লোকজনের দাবীর কারণে থাকি। কিংবা আমি তো জানিই না কি করে হয়ে গেল” স্যার ভদ্রলোক আপনার দায় স্বীকার করে কেটে পড়ৃন। দেশের প্রত্নসম্পদ রক্ষায় আপনারই মূল মীরজাফর।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভদ্রলোক বিশেষজ্ঞদের হয়তবা কোন বিচারই হবে না এই অপকর্মের জন্য। কারণ বিচারের জন্য যারা কন্ঠ ছাড়বে তারাই তো বুদ্ধিজীবি। এই বুদ্ধিজীবির তালিকাটা জনগণের সামনে থাকলে আর যাই হোক প্রতিরাতে টকশোতে যখন তাকে দেখবেন। তার স্মরণে একটু হলেও থুতু ফেলে দিতে পারেন আপনার টয়লেটে।

জনাব বিশেষজ্ঞ
ইনবক্সে আপনার গালি গ্রহণযোগ্য। আর আমি আপনার মতামতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং আপনার ইনবক্স জনতার কাছে উমুক্ত করব না। তবে নামের তালিকা কিন্তু জনগণ চাইলেই দেখতে পারে। এটা জনগণের অধিকার। আপনাদের বুদ্ধি বেচার দিন শেষ হবে, একদিন।
শুভ কামনা।
ছবি ইন্টারনেট।

ঈদ আয়োজনে শিশুদের পরিচয় হোক, সে শিশু।

ছবি ইন্টারনেট
আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকগুলো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেলাম। ফেইসবুক, ইমেইল এবং ডাকযোগে। বেশির ভাগ পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠান। আয়োজকরা সবাই তরুন/তরুনী এবং তরুণদের সংগঠন। ধন্যবাদ আপনাদের এই আয়োজনের জন্য।

অনুষ্ঠানগুলোতে পথশিশুদের পোষাক বিতরণ, টোকাইদের সাথে ঈদ উৎসব, পরিত্যাক্ত শিশুদের পোষাক বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের পোষাক বিতরন, কেউ কেউ বা তাদের আয়োজনের শিরোনাম দিয়েছেন পতিতাদের সন্তানদের ঈদ পোষাক বিতরণ।

আমি নিজেও আগে এই রকম ব্যানারেই কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের উচিত এই শব্দগুলোর ব্যবহার বন্ধ করা। পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শব্দগুলো আমাদের বৃহৎ কর্মকান্ডগুলোকে ছোট বিন্দুতে আবদ্ধ করে ফেলছে। সারাবছর যে নামেই তাদের পরিচয় হোক না কেন। বছরের একদিন যে ঈদকে ঘিরে আপনার আয়োজন সেইদিন শিশুর পরিচয় হোক, সে শিশু।

পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শবদ্ধগুলো তাদের স্বাভাবিক ঈদ উৎসবটাকে ম্লান করে দিতে পারে। আমরা হয়তো একটা পোষাকই দিব। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের কাছে কোনভাবেই আমরা শিশুদের পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান বলে পরিচয় করে দিতে পারি না।

আসুন ব্যানারগুলো যদি সম্ভব হয় আজই ঠিক করে নেই। তা না হলে আগমীবার ঠিক করার প্রস্তুতি রাখি।
আপনাদের কর্মকান্ডে আমি মুগ্ধ এবং আমাকে যারা অনলাইলে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শিশুদের পোষাক বিতরণ অনুষ্ঠান সফল হোক।

শুভ কামনা রইল।

Thursday, June 25, 2015

পুরান ঢাকার ইফতার। স্বাদ আর দরদাম

 
নিয়মিত২০১০ সাল পর্যন্ত আমি আর তানভীর ঢাকার অলি-গলিতে খাবারের সন্ধানে ঘুরেছি  । ধানমন্ডি, হাজারিবাগ, মিরপুর,পুরান ঢাকা, আটিবাজার, বনশ্রী, কল্যানপুর, পাগলা.... যেখানে মোটামোটি খাবারে গন্ধ পাওয়া গেছে, আমরা ঐখানেই ছুটেছি। এখনও সে ঢাকায় আসলে আমরা আয়োজন করে খাবারের খুঁজে বের হই। আমি খুব বেশি খেতে পারি তা নয়। আমি খাবারের দোকানের তালিকা টুকে রাখি মনে মনে।  কোথায় উটের মাংসের খিচুড়ী, ডাল মাখনি, বিউটি, জামের জুস, দুধ আদার চা, এলাচ চা, সুসি, দই বড়া, জিরা পানি, খেতাপুরী, ঢং সমুচা, মায়াবী পরটা, মহিউদ্দিনের কাটা মসলার ডাল ভুনা, বেগুন র্ভতা কিংবা ফাইসা মাছের ভাজি, সকাল বেলার ছানা-লেবু, রায়ের বাজারের বড় ড্যাগের শরবত, শাহজাহানপুরে কলোনীর পারদ কবুতরের হালুয়া কোনকিছুতেই আপত্তি নেই  আমাদের। যে খাবার আমাদের মুখে লাগেনি তা-ই আমাদের কাছে নতুন খাবার। আর তাই একবার পরীক্ষা করে নিতে আমাদের আপত্তি নেই।  যদি স্বাদ ভাল হয় তবে তানভীর ভয়ানক হয়ে উঠে। যেমন: কিছু বিরিয়ানীর দোকানের ৩/৪প্লেট বিরিয়ানী সে চালান করে। গাজীপুরের বকর ভাই নামের এক ব্যক্তির দোকানের ২৬ রকমের ভর্তা-ভার্জির সাথে ৬প্লেস ভাত সাবার হয়ে যায়। নারায়ানগঞ্জের  মাওরা হোটেলের ৪প্লেট ভাত সাথে অগণিত মাংস ভুনা তানভীরের খাদ্যের প্রতি ভালবাসার নমুনা। ঢাকা পিজা নামের এক দোকানের পিজাতে তার অরুচি নেই। অরুচি নেই কলিকাতা বিরিয়ানীতেও, নীলক্ষেতের তেহারী খেয়ে প্রেসার বেড়ে নীল হয়ে যাওয়া তার খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ফলের ব্যাপারেও তার আপত্তি নেই । কেজি ৫ আম এক রাতে হলেই ভাল। ২৫০ লিচু খেয়েও যখন শান্তি আসে না এক রাতে। এরপরের বছর আখাউড়ার কাছে মকন্দপুরে এটা আস্ত লিচুর বাগান রেখে দিল। আমার ডজনখানি মানুষ সেই বাগান ধ্বংস করে দিয়েছিলাম একদিনেই।


এই শহরে (Dhaka) যত মোড় আছে, আছে গলি তত গলি/মোড়ে তানভীরের বান্ধবী আছে। আর সেই বান্ধবীদের বাড়ি মোড়ের বিখ্যাত খাবারের দোকানদারটি তানভীরের পরিচিত। এরকম কথা আমাদের আড্ডায় খুবই পরিচিত। সেই তানভীর ইউরোপ পাড়ি জমাছে স্থায়ী ভাবে। দিন দুয়েক আগে এসে বলল দোস্ত আয় শেষ একটা ঘুরতি দিয়ে আসি। সব পুরান জায়গাতে। সাথে স্মৃতিগুলো একটু ঘর্ষে নেই।  আমরা স্মৃতি ঘর্ষতে গেলাম চকবাজারে। চকবাজারের ইফতার নিয়ে আমার কোন শখ আহ্লাদ নেই। তারপরও তার সাথে যাওয়া।  আমি চাই জীবনের আরো বহুবার দোস্ত তোর সাথে স্মৃতি ঘষাঘষি খাবে। তুই ভাল থাক।


তানভীরের সাথে ইফতারে কিছু মূহুর্ত এবং খাবারে দরদাম। সময় থাকলে পুরনা ঢাকার চকবাজারের ইফতার বাজারে ঘুরে আসতে পারেন। এক চকবাজারেই পেতে পারে ঢাকাইয়া ইফতারে নানা পদ।




 বড়লোকের পুলায় খায়: চকবাজার এলাকায় ইফতার বাজারে গেলেই  “ বড়লোকের পুলায় খায়, ঠোঙ্গায় ভইরা লইয়া যায়” হাক ডাক শুনতে পাবেন। বিভিন্ন ধরনের মাংস,ডিম, ছোলা,বুট, চিড়া, ঘি প্রভৃতির সমন্বয়ে তৈরি হয় বড়লোকের পুলায় খায়। এই খাবারটি কেজি ধরে বিক্রি হয়।
২০১৫ সালের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০টাকা ধরে।


বি:দ্র: যারা  বড়লোকের পুলায় খায় খেয়ে অভ্যস্থ নয় তারা প্রথমবার ২৫০ গ্রামের বেশি কেনার দরকার নেই।




আস্ত হাসের ভুনা: খাবারের জন্য বিখ্যাত পুরানা ঢাকা সব আস্ত আস্তই যেন একটা আলাদা ভাব নিয়ে আসে। পাবেন আস্ত হাঁস ভুনা, সাথে ডিম সিদ্ধ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি পিস হাঁস।

সুতা কাবাব: পুরান ঢাকার খুবই বিখ্যাত খাবার। তবে মুড়ি ভর্তা কিংবা পরটা ছাড়া খেলে এর স্বাদ তেমন পাবেন না। ৫০ থেকে ১০০ টাকার যে প্যাকেট পাওয়া যায় প্রথমবার তাই কিনতে পারেন।
রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম কাবাব। এই কাবাবের আবার রকমফের আছে। ঢাকাইয়াদের প্রিয় এক পদ সুতি কাবাব। বিশেষ করে ইফতারির পদ হিসেবে অনেক অনেক জনপ্রিয়। মুড়ি মাখার সাথে মেখে কিংবা পরোটা দিয়ে খেলে সুতি কাবাবের আসল স্বাদ মিলবে। শুধু সুতি কাবাব খেয়ে এর স্বাদ পাওয়া যাবে না। - See more at: http://www.priyo.com/food/recipes/6467.html#sthash.WcK0MT0s.dpuf

শাহী জিলাপী: কত বড় জিলাপী দেখেছেন জীবনে। চকবাজারে পাবেন ১কেজি থেকে ২কেজি ওজনের জিলাপী। কেজি ১৬০টাকা।



আস্ত খাসির রান: ঢাকাইয়া ইফতারে আস্ত খাসির রান থাকবে না তা হবে না। খুব সুন্দর আলিশান প্যাকেটে আস্ত খাসির রান মিলবে। দাম ৩৫০টাকা প্রতিটি।

আস্ত কোয়েল পাখি ভুনা: সকল কিছু আস্ত ভুনা পুরান ঢাকার খাবারের বিখ্যাত রূপ। আস্ত কোয়েল ভুনার দামটাও হাতের নাগালে মাত্র ৬৫টা প্রতিটি। এর স্বাদ অনেকটা কবুতর ভুনার মত। 


                                            
দই বড়া: এই খাবারটি নিয়ে আমার এবং আমার দোস্তের খুবই অনিহা আছে তাই এর সকল প্রকার তথ্য প্রদান থেকে বিরত রইলাম।





কিভাবে যাবেন চকবাজার?
শাহবাগ থেকে রিকশায় ভাড়া ৫০টাকা
আজিমপুর, পলাশী, বঙ্গবাজার থেকে রিকশা ভাড়া ৩০/৪০টাকা।



আর এই লিংকে পাবেন ঢাকাইয়া ইফতারের তথ্য ..  http://bangla-jungle.blogspot.com/2015/06/blog-post_25.html

খাবারের ছবি ফেবুতে দেওয়া এ প্রকার অপরাধ। তাই খাবারের ছবি প্রদান থেকে বিরত থাকুন।








হনুমানটি রক্ষায় এগিয়ে আসুন।

 https://youtu.be/SG88zXbVbCs
এই হনুমান টি আমি আজ দেখা পেয়েছি ঢাকার কাছে ভাকুর্তা এলাকায়। স্থানীয় এলাকাবাসী হনুমান খাবার ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করছে। একদল  শিশু হনুমান পরিচর্যায় নিয়োজিত। আমি যাওয়ার পর পর বলা হল কোন ভাবেই হনুমানকে বিরক্ত করা চলবে না।


আমি তাদের শর্তে রাজি হলাম। গত কয়েকদিন আগে ঐ এলাকায় দুটি শিয়াল শাবক বিক্রির জন্য ধরা হয়েছিল। আজ সেই এলাকার মানুষজন হনুমানটি রক্ষার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত।  এবার বাকি কাজ বন্য বিভাগের।  প্রতিকূল এই পরিবেশে হনুমানটি বেঁচে থাকা কঠিন হবে। তাই যথাযথ কতৃপক্ষ যদি এগিয়ে আসে। তবে হনুমান রক্ষা করা সম্ভব হবে।


মুখপোড়া হনুমান বা লালচে হনুমান (ইংরেজি: Capped langur, Capped leafed monkey) বানর প্রজাতির একটি স্তন্যপায়ী প্রানী । এরা Cercopithecidae পরিবারের অর্ন্তভুক্ত এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus । বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, চীন, ভারত এবং মায়ানমারে এদের পাওয়া যায়। এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল হচ্ছে ক্রান্তিয় ও নিরক্ষীয় শুষ্ক বনভূমি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, শিল্পায়ন ও কৃষিক্ষেত্রের সম্প্রসারণের দরুণ বনভূমি পরিমাণ হ্রাসের কারণে এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।

বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।



Tuesday, May 5, 2015

বলা হয় চাটুচক এ পাওয়া যায় না দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নেই।

বলা হয় চাটুচক এ পাওয়া যায় না দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নেই। কেউ কেউ বলে পুরো থাইল্যান্ডেকে নাকি বেচে দেওয়া হয় চাটুচকে। কি কি পাওয়া যায় আর পাওয়া যায় না । তার হিসেবে মিলাতে গেলে তর্ক অনেক হবে। তবে বিশ্বাস নিয়ে যাওয়াই যেতে পারে একবার ।

আমি গিয়েছিলাম বিশ্বাস নিয়ে একদল কথিত উন্নয়নের প্রতি আস্থাহীন বা অবিশ্বাসী মানুষের সাথে।

বিভিন্ন হাটে, বাদযন্ত্রের দ্বারা মানুষকে মুগ্ধ করা তাদের কাজ। বিনিময়ে যে অর্থ পায় তা দিয়ে পেট ও আন্দোলন চালায়।

আমার কোন কাজ নেই। আমি সারা দুনিয়া থেকে চাটুচকে আসা রং বেরংয়ে মানুষ দেখি।
আর একটু পর পর ছোট হ্যান্ড মাইকে চিৎকার দেই “ দেন ভাই দেন, কিছু দেন। প্রকৃতি রক্ষার জন্য দিন। নিজের জন্য দিন।

 “যেহেতু বিনামূল্যে থাকা খাওয়া পাই । তাই এই ব্যয়বহুল শহরে বাসস্থান ও খাদ্যের যোগানদাতাদের টুকটাক আদেশ শুনতেই হয়।

এই আদেশ পালন করতে গিয়েই বিনামূল্যে হাজার রংয়ের বাজার চাকুচক/চাটুচক দেখলাম। যারাই থাইল্যান্ডে যাবেন সুযোগ পেলে চাটুচক দেখার সুযোগ নষ্ট করবেন না। আর সাথে যদি বউ/বান্ধবী থাকে তবেও কেনাকাটা ঐখানেই শেষ করে ফেলতে পারেন।

আমি নিশ্চিত যত টাকাই আপনার সাথে থাকুক। চাটুচকে কেনাকাটা করে বাঙ্গালী বউ/বান্ধবীর মন ভরাতে পারবে এ ক্ষমতা কারো হয়নি। পুরো আস্ত বিমান নাকি ভর্তি হয়ে যাবে । তবুও চাটুচকে কেনাকাটার শখ মিটবে না।

এই বানী আামার নয় “ আমার চিৎকারে জড় হয়ে যাওয়া এ বাঙ্গালী বড় ভাই ‪#‎তৌফিক‬
ভাইয়ের।

তৌফিক ভাই আমি দোয়া করি । সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এত তৌফিক না দেন যে আপনি ভাবীর মন ভরাতে পারেন। ভাবীর মন ভরানোর চেষ্টায় আপনি বার বার চাটুচকে নিয়ে যান। আর আসার সময় আমার জন্য উপহার নিয়ে আসুন।

ভাবী এবং দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল স্বামী তৌফিক ভাই শুভ কামনা। বিবাহের প্রতিটি দিবস কাটুক চাটুচকে ।

ঢাকার রাস্তায় বৃক্ষরেপান।

 কোটি মানুষের ঢাকা নিয়ে মেয়রদের হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা। যাদের টাকা নেই তারা কি করবে ঢাকা নিয়ে। শহরটা তো তাদেরও। মেয়র/কমিশনার না হয়ে কোটি টাকা ছাড়া কি ঢাকার জন্য কিছু করা যায় ?

আমি এক পাগলের কাজ দেখলাম কাঠাল বাগান এলাকায়। সড়ক বিভাজনে সে ঘৃতকুমারী, ইক্ষু/গেন্ডারী/আখ আর লাল শাক বুনেছেন। আপনার বাড়ি কিংবা অফিসের সামনের সড়ক বিভাজনে আপনিও লাগাতে পারে বিভিন্ন গাছ।

গালাগালি তো অনেক করি। কিন্তু আপনি চাইলেই ঢাকা সবুজ হবে। আপনার একটা গাছই
ঢাকার সবুজের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে। আপনার বিশুদ্ধ অক্সিজেনের যোগানদাতা হবে। ঢাকার বাতাস পরিচ্ছন্ন করবে। সামনেই বর্ষাকাল গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আসুন একটা গাছ লাগাই।

নগরের পাগল, নাগরিক পাগল

এক পাগল দেখি রাস্তায় পোস্টার খুলেছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এগুলো খুলছেন কেন? মেঘ বৃষ্টির দিন পলিথিনের পোস্টারগুলো ড্রেন জ্যাম করে দিবে। তাছাড় দড়িগুলো ছিড়ে রাস্তায় ঝুলে থাকে মানুষের সমস্যা হবে। নির্বাচন শেষ তাই পোস্টারগুলো খুলে ফেলছি।