শহুরে যান্ত্রিক জীবন প্রায়ই বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সত্য বলতে প্রতি মুহূতেই সুযোগ খুঁজি শহর থেকে পালাতে। কিছু করতে চাই । তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোবোটিক জীবন যাপন করতে হয় এ শহরে । জীবনের শুরুটা আমার ছোট এক শহরে। প্রাণবন্ত শহর ছেড়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই এই শহুরে জীবনের স্বাদ নিতে আসি। সত্যিই আবার ফিরে যাব আমার শহরে। আমি গুছিয়ে আমার ক্লান্তির কথা কাউকে বলতে পারি না, বলতে পারি না আমার স্বপ্ন কিংবা হতাশার কথা। তারপরও চেষ্টা করলাম " এই যান্ত্রিক শহর থেকে নিজেকে মুক্তির দেওয়ার পথটা জানানোর।
Monday, March 14, 2016
মৃত্যুর পর এই ছায়া ঘেরা পথ ধরে যদি ফিরতে হয়। তবে মন্দ কি?
নদী পাড়ি দিয়ে যখন রাতের আধারে আমি আস্তানার সন্ধান পাই। সরু পাহাড়ি পথ আর চারচালা ঘর দেখে ক্লান্তি অনেকটাই দূর হয়ে গেল। সকালে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে জানালা সরিয়ে দেখছি সারি সারি রক্ত জবা আর দেশি-বিদেশি ফুলের সারি।
একদিন পাড়ি দিয়ে আমি বুঝে যাই। দিনের আলোর এই মায়াপুরী থেকে বের হওয়া যাবে না। সন্ধ্যার পর আমি বের হয়ে পড়ি বাড়ি ফিরব বলে। বার বার মনে হচ্ছিল একজন খেলোয়াড় যেমন তার তুঙ্গে থাকা সময় সিন্ধান্ত নেয় খেলা থেকে অবসর গ্রহনের। ঠিক তেমনি, আমিও বলি আনন্দময় এই মূহুর্তগুলোতে খবুই মন্দ হত না, যদি জীবন থামিয়ে দেওয়া যেত। এমন মূহুর্তগুলো পার করার পর অবশ্যই সেচ্ছায় মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন খুব কঠিন নয়। মৃত্যুর পর এই ছায়া ঘেরা পথ ধরে যদি ফিরতে হয়। তবে মন্দ কি?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment