ঢাকায় টাকা হলে বাঘের দুধ মিলে মুখে মুখে এই কথা থাকলেও। টাকা থাকলেই ঢাকায় প্রয়োজনের সময় সিএনজি অটো রিক্সা মিলবে তা দাবী করা কঠিন।
ঢাকার রাস্তায় সিএনজি অটো রিক্সা এক ভোগান্তির নাম। এই ভোগান্তি নিরসনে সরকার কাজ করছেন। কিন্তু কোন ভাবেই ভোগান্তি রোধ করা যাচ্ছে না। মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে চালকদের যানজট, শীত, গরম, দুপুরবেলা, বেশি রাত, বেশি ভোর কত শত অযুহাত। সবচেয়ে বেশি অযুহাত মালিক অতিরিক্ত দৈনিক জমা নেয় বিষয়ে। যেহেতু দৈনিক জমা নেওয়ার বিষয়টি সরকার কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই চালকরাও বাধ্য হয়ে মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।
মোবাইল কোর্ট, মন্ত্রীর দৌড় ঝাপ, বিএটির অভিযান, পত্রিকা-টেলিভিশনের ছবি সংবাদ ছাপিয়ে কোন কোন নিস্তার নেই। ঢাকাবাসী অসহায়। হয় চুক্তিতে নয়তো বা মিটারের বেশি অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। কাগজে কলমে যাই থাক জনগণকে এটাই ঢাকার রাস্তার নিয়ম। ৬০ ভাগ ভাড়া বেড়ে যাবার পরও মানুষ ভেবেছিল এবার হয়তবা চাইলেই অটো রিক্সা মিলবে । তাদের কে রাস্তায় হতাশ করল চালক-মালিক পক্ষ।
সিএনজি অটো রিক্সার নৈরাজ নিয়ে হাজার খবর পাবেন পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশনের সংবাদগুলোতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কোন ভাল খবরই কি নেই ঢাকার অটো রিক্সা নিয়ে?
এমন কোন চালকই নেই, যে মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নেয় না। আপনি যেখানে যেতে চাইবেন সেখানেই আপনাকে নিয়ে যাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে হাজারটা না মাঝে যে দু একটা হ্যাঁ আসতে পারে। মাদারিপুরের মো: শাহবুদ্দিন চাচা তাদের একজন।
কত বছর এই লাইনে আছেন, তার হিসেব নিজের কাছে মিলানো কঠিন। ঢাকায় সেই বেবি ট্যাক্সি দিয়ে শুরু। ৪০ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। মানুষ ঠকাতে কিংবা জিম্মি করে বেশি আয় করতে চাই না বাবা। মিটারে যা আসে তাতেই খুশি, আয় তো খুবই মন্দ না।
সকালে একটু তাড়াতাড়ি বের হন তিনি। দিন শেষে কত মানুষের ঠিক সময় মত অফিস পৌছে দিয়েছেন তার হিসেবেই নাকি তার প্রশান্তি। অফিস টাইমে তিনি কাউকে না বলেন, না। সব গন্তব্যে যেতে রাজি। কিন্তু বয়সের ভারে মাঝে মাঝে কান্তি লাগে। তাই দুপুরটায় বিশ্রাম নেন। তখন মাঝে মাঝে না বলতেই হয়। এই না বলটাতেও ভদ্রলোকের হাজার সংকোচ। খুবই নরম সুরে বলেন বাবা একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।
শাহবুদ্দিন চাচা আর তার গাড়ির মালিক দেলোয়ার শুরু করেছেন। মিটারে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীকে গন্তব্যে পৌছে দেবার লড়াই। ঢাকা নিয়ে হাজার হতাশার মাঝে শাবুদ্দিনরাই বাংলাদেশ। আপনি যেমন বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখেন তেমনি বাংলাদেশ গড়ার কারিগর শাহবুদ্দিন। আসুন একটা ধন্যবাদ নেই এই শাহবুদ্দিন চাচা কে। এই ধন্যবাদ না দিলে, আপনি আমি পিছিয়ে পড়ব স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লড়াই থেকে।
ধন্যবাদ শাহবুদ্দিন চাচা।
আমরা বিশ্বাস করি আপনি বাংলাদেশ।
শাহবুদ্দিন চাচার মোবাইল ফোন নাম্বার ০১৯৩৪৩০৪০২৭
শহুরে যান্ত্রিক জীবন প্রায়ই বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সত্য বলতে প্রতি মুহূতেই সুযোগ খুঁজি শহর থেকে পালাতে। কিছু করতে চাই । তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোবোটিক জীবন যাপন করতে হয় এ শহরে । জীবনের শুরুটা আমার ছোট এক শহরে। প্রাণবন্ত শহর ছেড়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই এই শহুরে জীবনের স্বাদ নিতে আসি। সত্যিই আবার ফিরে যাব আমার শহরে। আমি গুছিয়ে আমার ক্লান্তির কথা কাউকে বলতে পারি না, বলতে পারি না আমার স্বপ্ন কিংবা হতাশার কথা। তারপরও চেষ্টা করলাম " এই যান্ত্রিক শহর থেকে নিজেকে মুক্তির দেওয়ার পথটা জানানোর।
Saturday, February 13, 2016
Thursday, February 4, 2016
সাদা কালো কিংবা রঙ্গিন সবই সম্ভব এই স্কুলে।
সাদা কালো কিংবা রঙ্গিন সবই সম্ভব এই স্কুলে। গাদা গাদা বই কিংবা সারি সারি পরীক্ষার ঝামেলা নেই। চাইলেই দৌড়ে স্কুল পালানো যায়। একটু জোরে দৌড়ালে সবুজ মাঠ। মাঠ পাড়ি দিয়ে জলে লাফিয়ে পড়লে কার সাধ্য আছে শৈশবকে ধমিয়ে রাখার।
এই রকম স্কুল থেকে যে মেধাবীরা এ শহরে আসে না তা নয়। শহরের বড় বড় স্কুল পড়া বড় মানুষগুলো সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করা অসংখ্য মানুষ আসে এই স্কুল থেকে।
এ স্কুলে শৈশব হত্যা করা হয়নি। হয়তবা চার বছর বয়সে এখানে A তে আপেল শিখানো হয় না। ৭ বছর বয়সে কম্পিউটার নামক যন্ত্রটা দিয়ে বোমা মেরে শহর গুড়িয়ে দেবার খেলায় পরদর্শী হওয়া যায় না।
কিন্তু এখানে ৪বছর বয়সে গ্রামের প্রতিটি বাড়ি চেনা, বাজার থেকে একা একা বাড়ি আসা, বাড়ির পাগলা গরুটাকে নিয়ন্ত্রণ করা। ৭ বছর বয়সে নৌকা চালিয়ে বিলের মাঝখান থেকে শাপলা/শালুক আনা, বাজারে দুধ/সবজি বিক্রি করা, জমিতে মই দেওয়া, পাড়ার সকল গাছ নিয়ন্ত্রণে আসা সবই সম্ভব। এসব যোগ্যতা না হলেও অযোগ্যতা নয়।
গুলশান পার্ক উদ্ধার করুন।
বরাবর
মাননীয় মেয়র
আনিসুল হক
উত্তর সিটি করপোরেশন
ঢাকা
বিষয় : গুলশান পার্ক উদ্ধার প্রসঙ্গে।
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। গুলশান পার্কটি অনেকদিন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দখলে ছিল। পরে পার্কটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে একটি কাবের সাইন বোর্ড পার্কের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি স্থাপনাও তৈরি করা হয়েছে পার্কের ভিতরে। বিগত সময়ে লক্ষ্য করা গেছে যে পার্কগুলোতে একটি কাব বা সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়। তারপর ধীরে ধীরে পার্ক,মাঠটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়। ফলে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের খেলাধূলার সুযোগ বঞ্চিত হয়। বিনোদনের সুযোগের অভাবে শিশুরা ক্রমেই মাদক ও অন্যান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
এমতবস্থায় নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনি পার্কটি রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিবেন। আমরা বিশ্বাস করি অন্য কোন প্রতিষ্ঠান নয় বরং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই পার্কটি রক্ষনাবেক্ষনে সক্ষম।
ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
+৮৮০..................................
অনুলিপি
১. চেয়ারম্যান রাজউক
২. পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন
৩. বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
৪. বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি
মাননীয় মেয়র
আনিসুল হক
উত্তর সিটি করপোরেশন
ঢাকা
বিষয় : গুলশান পার্ক উদ্ধার প্রসঙ্গে।
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। গুলশান পার্কটি অনেকদিন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দখলে ছিল। পরে পার্কটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে একটি কাবের সাইন বোর্ড পার্কের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি স্থাপনাও তৈরি করা হয়েছে পার্কের ভিতরে। বিগত সময়ে লক্ষ্য করা গেছে যে পার্কগুলোতে একটি কাব বা সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়। তারপর ধীরে ধীরে পার্ক,মাঠটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়। ফলে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের খেলাধূলার সুযোগ বঞ্চিত হয়। বিনোদনের সুযোগের অভাবে শিশুরা ক্রমেই মাদক ও অন্যান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
এমতবস্থায় নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনি পার্কটি রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিবেন। আমরা বিশ্বাস করি অন্য কোন প্রতিষ্ঠান নয় বরং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই পার্কটি রক্ষনাবেক্ষনে সক্ষম।
ধন্যবাদসহ
সৈয়দ সাইফুল আলম
+৮৮০..................................
অনুলিপি
১. চেয়ারম্যান রাজউক
২. পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন
৩. বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
৪. বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি
Subscribe to:
Posts (Atom)