আপনার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য শহরের রাস্তায় বড় বড় বিলবোর্ড, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপানোর সামর্থ্য নেই। আমি একজন নাগরিক হিসেবে আপনার প্রতি বেশ কয়েকবার ( ইমেল,ফ্যাক্স,ডাকযোগে) চিঠি পাঠিয়েছি। কোন চিঠি উত্তর পাইনি। চিঠির উত্তর না পাওয়ার ক্ষোভটা আপনি তৈরি করেছেন। কারণ নাগরিকের প্রতি আপনার দায়িত্বশীল আচরণ আমাদের আরো বেশি আশাবাদী করে তুলেছে। তাই আমরা আপনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের সাহস রাখি। মাননীয় মেয়র সারি সারি দরজা ঠেলে আমলাতাক্রিক জটিলতার মাধ্যমে আমার আপনাকে আমাদের অভাব, অভিযোগ, ভালবাসা জানাতে চাই না। আমরা চাই সকালবেলার প্রাতভ্রমনে আপনার কাছ দিয়ে একটু জোরে হেঁটে যাবার পথে গতি কমিয়ে বলব , ধন্যবাদ মেয়র সাতরাস্তা আর গাবতলীর রাস্তার চিত্রটা পাল্টে দেবার জন্য। মেয়র ধন্যবাদ গ্রহন করুন আকাশ ঢেকে ফেলা দৈত্যাকার বিলবোর্ডের জঞ্জাল সরিয়ে দেওয়ার জন্য। সকালবেলা বাসে অফিস ফেরার পথে পাশে বসা আপনাকে বলতে চাই প্রিয় মেয়র একটা আগ্রীম ধন্যবাদ মোহাম্মপুর মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে থেকে ডাস্টাবিনটা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি ঢাকা এমনই হবে। চাইলেই নাগরিকরা আপনার কাছে ছুটে যেতে পারবে। আপনি আমাদের এই স্বপ্ন দেখাছেন। আপনার দৃষ্টি আর্কষণের জন্য নিচের চিঠিটি আবারও প্রকাশিত হল। মাননীয় মেয়র শুভ কামনা আপনার জন্য। ঢাকা শহরে একটা শিশুর জন্মগ্রহণে লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। বেশির ভাগ হাসপাতালের বাধ্যতামূলক সিজার বাণিজ্য আর যদি এনআইসিওতে বাচ্চাটা ভর্তি করা যায়। তবে তার ব্যয় কয়েক লক্ষ টাকা ছেড়ে যায়। এই বাস্তবতায় মোহাম্মদপুরের ১০০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতালটি মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত, বিত্তহীন মধ্যবিত্ত, কাগুজে মধ্যবিত্ত আর পোষাকী মধ্যবিত্তের জন্য আর্শিবাদ। মাত্র ৫০০০ টাকায় সিজার আর ১২০০ টাকায় সাধারণ ডেলিভারি হয়। স্বল্পমূল্যে প্রতিবছর অসংখ্য নারীদের মাতৃকালী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। আমরা চাই না ১০০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে যেন জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটা যেন না অপেক্ষা করতে হয়। কখন ডিসিসি ময়লাবাহী গাড়িটা সরে যাবে। আমরা চাই, আপনি একদিন হাসপাতালটায় যাবেন। আপনি যাওয়া উপলক্ষ্যে গত ২৫ আগস্ট ২০১৫ সালের সকাল ৯.১৫ মিনিটের মত হাসপাতালের ঢুকার মুখে রাস্তাটা ঝকঝক তকতক করবে। সেই ঝকঝক তকতক রাস্তা দিয়ে প্রতি বছর হাজার নব দম্পতি তাদের নবজাতক নিয়ে হাসতে হাসতে বের হবে। স্বামী তার স্ত্রীকে রুমালটা পকেট থেকে বের করে দিবে নাকে চেপে ধরার জন্য নয়। বেশ কয়েকদিন আলাদা বিছানায় শুয়ার কষ্টে চোখের জল মুছার জন্য। শিশুগুলো সবুজ ছায়া ঘেরা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে জানবে এই শহরটা পুরোপুরি বাস অযোগ্য হয়ে পড়েনি। একজন মানবিক মেয়র আছেন যিনি শুধু টেলিভিশন, পত্রিকার পাতায় আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নয়। তিনি লড়াই করছেন শহরটা বাসযোগ্য করা জন্য। মাননীয় মেয়র আমলাদের ডজনখানিক অযুহাত কিংবা অপ্রয়োজনীয় যুক্তি পিছনে ফেলে হাসপাতালের সামনে থেকে ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্রটি সরানোর দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি কোটি মানুষের আস্থা, ভালবাসা আর বিশ্বাসের প্রতীক একজন নগরপিতার একটা ডাস্টবিন আর আমালাদের অযুহাতের কাছে হার মানতে পারে না। আপনার প্রতি শুভ কামনা। শুভ কামনা আপনার প্রতিজন নাগরিক সেবকের প্রতি।
মাননীয় মেয়র আনিসুল হক
শহুরে যান্ত্রিক জীবন প্রায়ই বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সত্য বলতে প্রতি মুহূতেই সুযোগ খুঁজি শহর থেকে পালাতে। কিছু করতে চাই । তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোবোটিক জীবন যাপন করতে হয় এ শহরে । জীবনের শুরুটা আমার ছোট এক শহরে। প্রাণবন্ত শহর ছেড়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই এই শহুরে জীবনের স্বাদ নিতে আসি। সত্যিই আবার ফিরে যাব আমার শহরে। আমি গুছিয়ে আমার ক্লান্তির কথা কাউকে বলতে পারি না, বলতে পারি না আমার স্বপ্ন কিংবা হতাশার কথা। তারপরও চেষ্টা করলাম " এই যান্ত্রিক শহর থেকে নিজেকে মুক্তির দেওয়ার পথটা জানানোর।
Tuesday, December 15, 2015
একজন নগরপিতার একটা ডাস্টবিন আর আমালাদের অযুহাতের কাছে হার মানতে পারে না।
Tuesday, November 3, 2015
ভারতে কেন মানুষ যায়? ঘুরতে, চিকিৎসা করতে, কেনাকাটা করতে?
যে কারণেই ভারতে যাক মানুষ। ভারত ঘুরার জন্য মন্দ নয়। যারা শুধু কলকাতা নিউ মার্কেট ঘুরে বিস্তর প্রশান্তিনিয়ে দেশে ফেরেন। তাদের জন্য আরো কিছুটা সুখ যোগ হতে পারে কলকাতার রবী ঠাকুরের জোড়াঁসাকো বাড়ি, মার্বেল প্যালেস, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, নন্দন, ন্যাশনাল লাইব্রেরী, আলিপুর চিড়িয়াখানা। নিউমার্কেটের আসে পাশে যারা থাকবেন। তাদের একটু হাঁটা অভ্যাস আর পকেটে ১০০ রুপী থাকলে এই জায়গাগুলো ঘুরে আসতেই পারেন । একটি দিনের কিছু সময় ব্যয় করেই ঘুরা হয়ে যাবে। বেশির ভাগ জায়গায় যেতে খরচ হবে বাস ভাড়া মাত্র ৬রুপি। খাবারের জন্য ভাল নন্দন আর যমুনা বাঙ্কোয়েট এর কাছে খালেকের খাবার দোকান।
ঢাকা থেকে মাত্র ৫০০/৬০০টাকায় চাইলে আপনি কলকাতায় পৌছে যেতে পারেন। সময়ও অর্থ সবই বাঁচবে। থাকার জন্য ১০০ ভাগ ফ্রি থেকে ২০০/৪০০ এবং ৬০০ থেকে এসি রুম শুরু ৫০০০/৭০০০হাজার রুপির রুম পাবেন।
থাকা/খাওয়া যাই হোক। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আমার আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে বিনামূল্যের চিকিৎসা কিংবা স্বল্প ব্যয়ের চিকিৎসা।
সাবান, স্যাম্পু,গাড়ি, সংস্কৃতি বেচাবিক্রির পাশাপাশি চিকিৎসা নিয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের মেডিক্যাল পর্যটন। সারা দুনিয়া থেকে এখন মানুষ আসে ভারতে চিকিৎসা করাতে। সেই চিকিৎসায় অান্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু আন্তরিকতাটুকু পুরোটাই টাকা দিয়ে কিনতে হয়। এই টাকায় কেনা আন্তরিকতা ছাড়াও ভারতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পব্যয়ে চিকিৎসার। গেল বছর কয়েক আমি ভারতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে। যারা চিকিৎসাকে পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করে না। চিকিৎসা তাদের কাছে মানে সষ্ট্রার সেবা করার সুযোগ। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানুষের ভিড় থাকে।
আরো কিছু বেশিদিন বাঁচতে, কারো কাছ থেকে একটা নীল অপরাজিতা মুঠোবন্দি করবে বলে দুনিয়াব্যাপী বিত্তশালী মানুষদের গন্তব্য যখন ভারত , তখন এই মেডিক্যাল পর্যটন নিয়ে আপনি বিভ্রান্ত হবেন-ই। তাই চিকিৎসা সেবা নামক পণ্য কিনতে ভেবে কিনুন। এটা আপনার অধিকার । শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন।
যাদের একটু টাকা পয়সা কম আছে। তারা সব ঘুরে ফিরে কলকাতায় পিজি হাসপাতালে ঘুরে আসতে পারেন। ২রুপিতে যে এখনো চিকিৎসারে শুরু করা যায় তার স্বাদ নিতে পারবেন পিজিতে। আমি নিজেও নিয়েছি। ২রুপির টিকেটে মিনিট ২০/৩০ ডাক্তার আপনার সাথে কথা বলবে। তারপর কপাল ভাল মন্দ যাই হোক কিছু বিনামূল্যের ঔষধও পেতে পারেন।
এই বিনামূল্যের কিংবা স্বল্পমূল্যের চিকিৎসার অনেক সুযোগ বাংলাদেশেও আছে। ঢাকা মেডিক্যাল তার অন্যতম উদাহরণ। এই হাসপাতাল থেকে রোগী ফের যাবার অভিজ্ঞতা খুবই কম। শুধুই গালাগালি করে একটি দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তারচেয়ে আপনার পরার্মশ,দান,অনুদানের ভাগ দিন এই দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোতে। সরকারী হাসপাতালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি অফিস থাকে সেখানে অনুদান গ্রহণ করা হয়। আপনার অনুদান নিশ্চয় অনেক সীমাবদ্ধতার জয় করতে সহযোগিতা করবে।
ডাক্তারা তো খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু আপনিও যদি একবার ধন্যবাদ না দিন তাদের । তবে কি করে তারা ভাল ব্যবহার করবে। কবে এদেশের মানুষ একবার ধন্যবাদ জানিয়েছি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাদের হাজার সীমাবদ্ধতার মাঝেও সেবা দেবার জন্য।
আমার মত ভাগ্যবান রোগী সবাই হয় না। ২রুপিতে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পথে কেউ হয়তবা দুই জোড়া নীলকন্ঠ/অপরাজিতা ফুলসহ আমার মত বলবে না নিয়ম করে চলো। সুস্থ হবেই। কে আমার মত ভাগ্যবান আর কে নয় তার হিসেব মিলিয়ে লাভ কি। ক্ষতি কি যদি আপনি শুরু করেন। আপনার পাশের যে মানুষগুলো চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত। তাদের জন্য আশেপাশের বিনামূল্যের/স্বল্পমূল্যের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সহযোগিতা করুন। আপনি সেবা পাবার পর, অন্যের সেবা পাওয়ার পথ প্রস্থ করুন।
বিশ্বাস,আস্থা,ভালবাসা নিয়ে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে আপনিও গালাগালি ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে পারেন। আপনার কাজ করার পথ আপনাকেই সুগম করতে হবে। আমারও চাই প্রতিটি রোগীর বিছানায় সকালবেলায় দুটো অপরাজিতা ফুল নিয়ে কেউ একজন বলবে শুভ সকাল। পরাজিত হওয়া যাবে না, কোন ভাবেই না। ফুল কি অপরাজিত করে নাকি? রোগ শুধুই ঔষুধে সারে না। দু একটা অপরাজিতা ফুলও ভয়ানক কাজ করে সুস্থ হতে।
পাশাপাশি যদি দেওয়ালে লেখা দেখেন “সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ” রোগ অপরাজিত হবেই এই ভালবাসার কাছে।
Saturday, August 22, 2015
মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের সামনে থেকে সিটি করপোরেশনের ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্র অপসারণ প্রসঙ্গে।
বরাবর
মাননীয় মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
৮১, গুলশান এভিনিউ, গুলশান
ঢাকা ১২১২ ।
বিষয় : মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের সামনে থেকে সিটি করপোরেশনের ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্র অপসারণ প্রসঙ্গে।
জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে অবস্থিত মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালটি স্বল্পব্যয়ের উন্নত মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু সেবা প্রাপ্তি আস্থারস্থল। এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে জনগণকে উদ্ধুদ্ধকরণ, পরামর্শ, সহায়তা প্রদান, গবেষণা কার্যক্রম, সরকারী ও বেসরকারী চিকিৎসক, নার্স, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, মাঠকর্মীদের প্রশিণ প্রদান, সর্বোপরি পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে এটি একটি জনাপ্রিয় নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রসিদ্ধ।
এখানে প্রতিদিন গবেষণা,প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছাড়াও শত শত নারী, শিশু স্বাস্থ্যসেবা গ্রহনের জন্য আসেন। এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হাসপাতালটি প্রবেশ পথে বিশাল অংশ জুড়ে সিটি করপোরেশনের ময়লা আবর্জনা স্থানান্তরের কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। প্রবেশ পথটির একটি বড় অংশ বন্ধ করে সারাদিন ময়লা স্থানান্তরের কাজ চলে। ফলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য যেমন যুক্তিপূর্ণ তেমনি জরুরি প্রয়োজনে রোগী বহনকারী গাড়ি প্রবেশ ও বাহিরে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এমতবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে অতি দ্রুত ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্রটি বন্ধ/স্থানান্তরের জন্য যথাযর্থ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করছি।
সীমিত সম্পদ আর অপ্রতুল জনবল মাধ্যমে আপনার সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নাগারিক সেবা প্রদানের যে নিরলস পরিশ্রম করছে তার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
সৈয়দ সাইফুল আলম
অনুলিপি :
১.প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা
২.প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা
৩.স্বাস্থ্য মহাপরিচালক
সংযুক্তি : ময়লা অপসারণ কেন্দ্রের ছবি।
Tuesday, July 7, 2015
খেলার মাঠে, মেলা নয়।
“খেলার মাঠে মেলা নয়” এটি আইন। বিগত সময়ে এই আইনের ভিত্তিতে আদালত বেশকিছু মাঠে মেলা বন্ধ করার নির্দেশ ও দিয়েছেন।
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০ এ খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তনে বাধা-নিষেধ প্রসঙ্গে বলা আছে,
৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷
কিন্তু শ্যামলী খেলার মাঠ যেন আইন আদালতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে এখানে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজারখানি বাতির আলোতে আলোকিত হয় মাঠ মেলা উপলক্ষ্যে। বিদ্যুৎ আসে সরকারী লাইন থেকে। পুরো দেশ কিছু মানুষের জন্য মগের মুল্লুক। তারা যা চায় তার জন্য আইন স্থবির হয়ে যায়।
আপনার আমার নিরবতায় এই মানুষগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা কন্ঠ ছাড়ি জোরে । তারা পালাতে বাধ্য হবেই।
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০।
ধারা ৫
৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০ এ খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তনে বাধা-নিষেধ প্রসঙ্গে বলা আছে,
৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷
কিন্তু শ্যামলী খেলার মাঠ যেন আইন আদালতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে এখানে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজারখানি বাতির আলোতে আলোকিত হয় মাঠ মেলা উপলক্ষ্যে। বিদ্যুৎ আসে সরকারী লাইন থেকে। পুরো দেশ কিছু মানুষের জন্য মগের মুল্লুক। তারা যা চায় তার জন্য আইন স্থবির হয়ে যায়।
আপনার আমার নিরবতায় এই মানুষগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা কন্ঠ ছাড়ি জোরে । তারা পালাতে বাধ্য হবেই।
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০।
ধারা ৫
৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০
Monday, July 6, 2015
প্রত্ন সম্পদ রক্ষায় মীর জাফরদের চিনে রাখুন।
লালবাগ কেল্লার দেওয়াল ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি থামানো হয়েছে। এটি অবশ্যই
জনগণের বিজয়। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরই যে শুধুমাত্র এই অপকর্মের সাথে
যুক্ত ছিল তা নয়। এই অপকর্মের যারা প্রধান তারা অধিকাংশ দেশের শ্রেষ্ঠ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও বিদেশ থেকে কয়েক ডজন ডিগ্রীধারী লোকরা। কেল্লার দেওয়া
ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি করার জন্য যে বিশেষজ্ঞ কমিটি মতামত দিয়েছেন । তার
এখন গর্তে ঢুকে দায় এড়াতে চাচ্ছেন। তারা টকশোতে নীতি নৈতিকতার ঝড় তুলেন। আর
ফেরার পথে কেজি ধরে বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ বিক্রি করে দেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটির ভদ্রলোদের তালিকাটা প্রকাশ করা দরকার। তারা সকলেই দাবী
করেন তারাই দেশের একমাত্র বুদ্ধিজীবি। ইতিহাসবিদ, স্থপতি,
প্রত্নতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির তালিকাটা জনসাধারনের কাছে
প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই ভাঙ্গা হয়েছে কেল্লার দেওয়াল ও
গড়ে তুলা হয়েছিল পার্কিং।
আপনি আমি এই ভেবে নিশ্চিন্ত আছি, যে এই টকশোবাজ,বুদ্ধিজীবি, ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদরা আর যাই করুক দেশের ঐতিহ্য বিনিষ্ট হতে দিবে না।
কিন্তু তাদের অন্যরূপ আমরা দেখিনি। তাদের মত কোন কোন ভদ্রলোকরাই আমাদের প্রত্ন সম্পদ যুগে যুগে পাচারে ইন্ধন বা সমর্থন নিয়ে এসেছে । তাদের মত কোন বুদ্ধিজীবির বুদ্ধি বেচেই ফ্রান্সের গিমে যাদুঘর প্রত্ননির্দেশন সমর্থন জোগায়।
আর যদি কোন বুদ্ধিজীবি বলে “আমি তো কমিটিতে থাকতে চাই লোকজনের দাবীর কারণে থাকি। কিংবা আমি তো জানিই না কি করে হয়ে গেল” স্যার ভদ্রলোক আপনার দায় স্বীকার করে কেটে পড়ৃন। দেশের প্রত্নসম্পদ রক্ষায় আপনারই মূল মীরজাফর।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভদ্রলোক বিশেষজ্ঞদের হয়তবা কোন বিচারই হবে না এই অপকর্মের জন্য। কারণ বিচারের জন্য যারা কন্ঠ ছাড়বে তারাই তো বুদ্ধিজীবি। এই বুদ্ধিজীবির তালিকাটা জনগণের সামনে থাকলে আর যাই হোক প্রতিরাতে টকশোতে যখন তাকে দেখবেন। তার স্মরণে একটু হলেও থুতু ফেলে দিতে পারেন আপনার টয়লেটে।
জনাব বিশেষজ্ঞ
ইনবক্সে আপনার গালি গ্রহণযোগ্য। আর আমি আপনার মতামতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং আপনার ইনবক্স জনতার কাছে উমুক্ত করব না। তবে নামের তালিকা কিন্তু জনগণ চাইলেই দেখতে পারে। এটা জনগণের অধিকার। আপনাদের বুদ্ধি বেচার দিন শেষ হবে, একদিন।
শুভ কামনা।
ছবি ইন্টারনেট।
আপনি আমি এই ভেবে নিশ্চিন্ত আছি, যে এই টকশোবাজ,বুদ্ধিজীবি, ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদরা আর যাই করুক দেশের ঐতিহ্য বিনিষ্ট হতে দিবে না।
কিন্তু তাদের অন্যরূপ আমরা দেখিনি। তাদের মত কোন কোন ভদ্রলোকরাই আমাদের প্রত্ন সম্পদ যুগে যুগে পাচারে ইন্ধন বা সমর্থন নিয়ে এসেছে । তাদের মত কোন বুদ্ধিজীবির বুদ্ধি বেচেই ফ্রান্সের গিমে যাদুঘর প্রত্ননির্দেশন সমর্থন জোগায়।
আর যদি কোন বুদ্ধিজীবি বলে “আমি তো কমিটিতে থাকতে চাই লোকজনের দাবীর কারণে থাকি। কিংবা আমি তো জানিই না কি করে হয়ে গেল” স্যার ভদ্রলোক আপনার দায় স্বীকার করে কেটে পড়ৃন। দেশের প্রত্নসম্পদ রক্ষায় আপনারই মূল মীরজাফর।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভদ্রলোক বিশেষজ্ঞদের হয়তবা কোন বিচারই হবে না এই অপকর্মের জন্য। কারণ বিচারের জন্য যারা কন্ঠ ছাড়বে তারাই তো বুদ্ধিজীবি। এই বুদ্ধিজীবির তালিকাটা জনগণের সামনে থাকলে আর যাই হোক প্রতিরাতে টকশোতে যখন তাকে দেখবেন। তার স্মরণে একটু হলেও থুতু ফেলে দিতে পারেন আপনার টয়লেটে।
জনাব বিশেষজ্ঞ
ইনবক্সে আপনার গালি গ্রহণযোগ্য। আর আমি আপনার মতামতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং আপনার ইনবক্স জনতার কাছে উমুক্ত করব না। তবে নামের তালিকা কিন্তু জনগণ চাইলেই দেখতে পারে। এটা জনগণের অধিকার। আপনাদের বুদ্ধি বেচার দিন শেষ হবে, একদিন।
শুভ কামনা।
ছবি ইন্টারনেট।
ঈদ আয়োজনে শিশুদের পরিচয় হোক, সে শিশু।
ছবি ইন্টারনেট |
অনুষ্ঠানগুলোতে পথশিশুদের পোষাক বিতরণ, টোকাইদের সাথে ঈদ উৎসব, পরিত্যাক্ত শিশুদের পোষাক বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের পোষাক বিতরন, কেউ কেউ বা তাদের আয়োজনের শিরোনাম দিয়েছেন পতিতাদের সন্তানদের ঈদ পোষাক বিতরণ।
আমি নিজেও আগে এই রকম ব্যানারেই কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের উচিত এই শব্দগুলোর ব্যবহার বন্ধ করা। পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শব্দগুলো আমাদের বৃহৎ কর্মকান্ডগুলোকে ছোট বিন্দুতে আবদ্ধ করে ফেলছে। সারাবছর যে নামেই তাদের পরিচয় হোক না কেন। বছরের একদিন যে ঈদকে ঘিরে আপনার আয়োজন সেইদিন শিশুর পরিচয় হোক, সে শিশু।
পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শবদ্ধগুলো তাদের স্বাভাবিক
ঈদ উৎসবটাকে ম্লান করে দিতে পারে। আমরা হয়তো একটা পোষাকই দিব। কিন্তু
হাজার হাজার মানুষের কাছে কোনভাবেই আমরা শিশুদের
পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান বলে পরিচয় করে দিতে পারি না।
আসুন ব্যানারগুলো যদি সম্ভব হয় আজই ঠিক করে নেই। তা না হলে আগমীবার ঠিক করার প্রস্তুতি রাখি।
আপনাদের কর্মকান্ডে আমি মুগ্ধ এবং আমাকে যারা অনলাইলে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শিশুদের পোষাক বিতরণ অনুষ্ঠান সফল হোক।
শুভ কামনা রইল।
আসুন ব্যানারগুলো যদি সম্ভব হয় আজই ঠিক করে নেই। তা না হলে আগমীবার ঠিক করার প্রস্তুতি রাখি।
আপনাদের কর্মকান্ডে আমি মুগ্ধ এবং আমাকে যারা অনলাইলে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শিশুদের পোষাক বিতরণ অনুষ্ঠান সফল হোক।
শুভ কামনা রইল।
Thursday, June 25, 2015
পুরান ঢাকার ইফতার। স্বাদ আর দরদাম
এই শহরে (Dhaka) যত মোড় আছে, আছে গলি তত গলি/মোড়ে তানভীরের বান্ধবী আছে। আর সেই বান্ধবীদের বাড়ি মোড়ের বিখ্যাত খাবারের দোকানদারটি তানভীরের পরিচিত। এরকম কথা আমাদের আড্ডায় খুবই পরিচিত। সেই তানভীর ইউরোপ পাড়ি জমাছে স্থায়ী ভাবে। দিন দুয়েক আগে এসে বলল দোস্ত আয় শেষ একটা ঘুরতি দিয়ে আসি। সব পুরান জায়গাতে। সাথে স্মৃতিগুলো একটু ঘর্ষে নেই। আমরা স্মৃতি ঘর্ষতে গেলাম চকবাজারে। চকবাজারের ইফতার নিয়ে আমার কোন শখ আহ্লাদ নেই। তারপরও তার সাথে যাওয়া। আমি চাই জীবনের আরো বহুবার দোস্ত তোর সাথে স্মৃতি ঘষাঘষি খাবে। তুই ভাল থাক।
তানভীরের সাথে ইফতারে কিছু মূহুর্ত এবং খাবারে দরদাম। সময় থাকলে পুরনা ঢাকার চকবাজারের ইফতার বাজারে ঘুরে আসতে পারেন। এক চকবাজারেই পেতে পারে ঢাকাইয়া ইফতারে নানা পদ।
বড়লোকের পুলায় খায়: চকবাজার এলাকায় ইফতার বাজারে গেলেই “ বড়লোকের পুলায় খায়, ঠোঙ্গায় ভইরা লইয়া যায়” হাক ডাক শুনতে পাবেন। বিভিন্ন ধরনের মাংস,ডিম, ছোলা,বুট, চিড়া, ঘি প্রভৃতির সমন্বয়ে তৈরি হয় বড়লোকের পুলায় খায়। এই খাবারটি কেজি ধরে বিক্রি হয়।
২০১৫ সালের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০টাকা ধরে।
বি:দ্র: যারা বড়লোকের পুলায় খায় খেয়ে অভ্যস্থ নয় তারা প্রথমবার ২৫০ গ্রামের বেশি কেনার দরকার নেই।
আস্ত হাসের ভুনা: খাবারের জন্য বিখ্যাত পুরানা ঢাকা সব আস্ত আস্তই যেন একটা আলাদা ভাব নিয়ে আসে। পাবেন আস্ত হাঁস ভুনা, সাথে ডিম সিদ্ধ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি পিস হাঁস।
সুতা কাবাব: পুরান ঢাকার খুবই বিখ্যাত খাবার। তবে মুড়ি ভর্তা কিংবা পরটা ছাড়া খেলে এর স্বাদ তেমন পাবেন না। ৫০ থেকে ১০০ টাকার যে প্যাকেট পাওয়া যায় প্রথমবার তাই কিনতে পারেন।
রাজধানী
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম কাবাব। এই কাবাবের আবার রকমফের
আছে। ঢাকাইয়াদের প্রিয় এক পদ সুতি কাবাব। বিশেষ করে ইফতারির পদ হিসেবে
অনেক অনেক জনপ্রিয়। মুড়ি মাখার সাথে মেখে কিংবা পরোটা দিয়ে খেলে সুতি
কাবাবের আসল স্বাদ মিলবে। শুধু সুতি কাবাব খেয়ে এর স্বাদ পাওয়া যাবে না। -
See more at:
http://www.priyo.com/food/recipes/6467.html#sthash.WcK0MT0s.dpuf
শাহী জিলাপী: কত বড় জিলাপী দেখেছেন জীবনে। চকবাজারে পাবেন ১কেজি থেকে ২কেজি ওজনের জিলাপী। কেজি ১৬০টাকা।
আস্ত খাসির রান: ঢাকাইয়া ইফতারে আস্ত খাসির রান থাকবে না তা হবে না। খুব সুন্দর আলিশান প্যাকেটে আস্ত খাসির রান মিলবে। দাম ৩৫০টাকা প্রতিটি।
আস্ত
কোয়েল পাখি ভুনা: সকল কিছু আস্ত ভুনা পুরান ঢাকার খাবারের বিখ্যাত রূপ।
আস্ত কোয়েল ভুনার দামটাও হাতের নাগালে মাত্র ৬৫টা প্রতিটি। এর স্বাদ অনেকটা
কবুতর ভুনার মত।
দই বড়া: এই খাবারটি নিয়ে আমার এবং আমার দোস্তের খুবই অনিহা আছে তাই এর সকল প্রকার তথ্য প্রদান থেকে বিরত রইলাম।
কিভাবে যাবেন চকবাজার?
শাহবাগ থেকে রিকশায় ভাড়া ৫০টাকা
আজিমপুর, পলাশী, বঙ্গবাজার থেকে রিকশা ভাড়া ৩০/৪০টাকা।
আর এই লিংকে পাবেন ঢাকাইয়া ইফতারের তথ্য .. http://bangla-jungle.blogspot.com/2015/06/blog-post_25.html
খাবারের ছবি ফেবুতে দেওয়া এ প্রকার অপরাধ। তাই খাবারের ছবি প্রদান থেকে বিরত থাকুন।
হনুমানটি রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
https://youtu.be/SG88zXbVbCs
এই হনুমান টি আমি আজ দেখা পেয়েছি ঢাকার কাছে ভাকুর্তা এলাকায়। স্থানীয় এলাকাবাসী হনুমান খাবার ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করছে। একদল শিশু হনুমান পরিচর্যায় নিয়োজিত। আমি যাওয়ার পর পর বলা হল কোন ভাবেই হনুমানকে বিরক্ত করা চলবে না।
আমি তাদের শর্তে রাজি হলাম। গত কয়েকদিন আগে ঐ এলাকায় দুটি শিয়াল শাবক বিক্রির জন্য ধরা হয়েছিল। আজ সেই এলাকার মানুষজন হনুমানটি রক্ষার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। এবার বাকি কাজ বন্য বিভাগের। প্রতিকূল এই পরিবেশে হনুমানটি বেঁচে থাকা কঠিন হবে। তাই যথাযথ কতৃপক্ষ যদি এগিয়ে আসে। তবে হনুমান রক্ষা করা সম্ভব হবে।
মুখপোড়া হনুমান বা লালচে হনুমান (ইংরেজি: Capped langur, Capped leafed monkey) বানর প্রজাতির একটি স্তন্যপায়ী প্রানী । এরা Cercopithecidae পরিবারের অর্ন্তভুক্ত এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus । বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, চীন, ভারত এবং মায়ানমারে এদের পাওয়া যায়। এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল হচ্ছে ক্রান্তিয় ও নিরক্ষীয় শুষ্ক বনভূমি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, শিল্পায়ন ও কৃষিক্ষেত্রের সম্প্রসারণের দরুণ বনভূমি পরিমাণ হ্রাসের কারণে এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
এই হনুমান টি আমি আজ দেখা পেয়েছি ঢাকার কাছে ভাকুর্তা এলাকায়। স্থানীয় এলাকাবাসী হনুমান খাবার ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করছে। একদল শিশু হনুমান পরিচর্যায় নিয়োজিত। আমি যাওয়ার পর পর বলা হল কোন ভাবেই হনুমানকে বিরক্ত করা চলবে না।
আমি তাদের শর্তে রাজি হলাম। গত কয়েকদিন আগে ঐ এলাকায় দুটি শিয়াল শাবক বিক্রির জন্য ধরা হয়েছিল। আজ সেই এলাকার মানুষজন হনুমানটি রক্ষার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। এবার বাকি কাজ বন্য বিভাগের। প্রতিকূল এই পরিবেশে হনুমানটি বেঁচে থাকা কঠিন হবে। তাই যথাযথ কতৃপক্ষ যদি এগিয়ে আসে। তবে হনুমান রক্ষা করা সম্ভব হবে।
মুখপোড়া হনুমান বা লালচে হনুমান (ইংরেজি: Capped langur, Capped leafed monkey) বানর প্রজাতির একটি স্তন্যপায়ী প্রানী । এরা Cercopithecidae পরিবারের অর্ন্তভুক্ত এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus । বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, চীন, ভারত এবং মায়ানমারে এদের পাওয়া যায়। এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল হচ্ছে ক্রান্তিয় ও নিরক্ষীয় শুষ্ক বনভূমি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, শিল্পায়ন ও কৃষিক্ষেত্রের সম্প্রসারণের দরুণ বনভূমি পরিমাণ হ্রাসের কারণে এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
Tuesday, May 5, 2015
বলা হয় চাটুচক এ পাওয়া যায় না দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নেই।
বলা হয় চাটুচক এ পাওয়া যায় না দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নেই। কেউ কেউ বলে
পুরো থাইল্যান্ডেকে নাকি বেচে দেওয়া হয় চাটুচকে। কি কি পাওয়া যায় আর পাওয়া
যায় না । তার হিসেবে মিলাতে গেলে তর্ক অনেক হবে। তবে বিশ্বাস নিয়ে যাওয়াই
যেতে পারে একবার ।
আমি গিয়েছিলাম বিশ্বাস নিয়ে একদল কথিত উন্নয়নের প্রতি আস্থাহীন বা অবিশ্বাসী মানুষের সাথে।
বিভিন্ন হাটে, বাদযন্ত্রের দ্বারা মানুষকে মুগ্ধ করা তাদের কাজ। বিনিময়ে যে অর্থ পায় তা দিয়ে পেট ও আন্দোলন চালায়।
আমি গিয়েছিলাম বিশ্বাস নিয়ে একদল কথিত উন্নয়নের প্রতি আস্থাহীন বা অবিশ্বাসী মানুষের সাথে।
বিভিন্ন হাটে, বাদযন্ত্রের দ্বারা মানুষকে মুগ্ধ করা তাদের কাজ। বিনিময়ে যে অর্থ পায় তা দিয়ে পেট ও আন্দোলন চালায়।
আমার কোন কাজ নেই। আমি সারা দুনিয়া থেকে চাটুচকে আসা রং বেরংয়ে মানুষ দেখি।
আর একটু পর পর ছোট হ্যান্ড মাইকে চিৎকার দেই “ দেন ভাই দেন, কিছু দেন। প্রকৃতি রক্ষার জন্য দিন। নিজের জন্য দিন।
“যেহেতু বিনামূল্যে থাকা খাওয়া পাই । তাই এই ব্যয়বহুল শহরে বাসস্থান ও খাদ্যের যোগানদাতাদের টুকটাক আদেশ শুনতেই হয়।
এই আদেশ পালন করতে গিয়েই বিনামূল্যে হাজার রংয়ের বাজার চাকুচক/চাটুচক দেখলাম। যারাই থাইল্যান্ডে যাবেন সুযোগ পেলে চাটুচক দেখার সুযোগ নষ্ট করবেন না। আর সাথে যদি বউ/বান্ধবী থাকে তবেও কেনাকাটা ঐখানেই শেষ করে ফেলতে পারেন।
আমি নিশ্চিত যত টাকাই আপনার সাথে থাকুক। চাটুচকে কেনাকাটা করে বাঙ্গালী বউ/বান্ধবীর মন ভরাতে পারবে এ ক্ষমতা কারো হয়নি। পুরো আস্ত বিমান নাকি ভর্তি হয়ে যাবে । তবুও চাটুচকে কেনাকাটার শখ মিটবে না।
এই বানী আামার নয় “ আমার চিৎকারে জড় হয়ে যাওয়া এ বাঙ্গালী বড় ভাই #তৌফিক
ভাইয়ের।
তৌফিক ভাই আমি দোয়া করি । সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এত তৌফিক না দেন যে আপনি ভাবীর মন ভরাতে পারেন। ভাবীর মন ভরানোর চেষ্টায় আপনি বার বার চাটুচকে নিয়ে যান। আর আসার সময় আমার জন্য উপহার নিয়ে আসুন।
ভাবী এবং দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল স্বামী তৌফিক ভাই শুভ কামনা। বিবাহের প্রতিটি দিবস কাটুক চাটুচকে ।
আর একটু পর পর ছোট হ্যান্ড মাইকে চিৎকার দেই “ দেন ভাই দেন, কিছু দেন। প্রকৃতি রক্ষার জন্য দিন। নিজের জন্য দিন।
“যেহেতু বিনামূল্যে থাকা খাওয়া পাই । তাই এই ব্যয়বহুল শহরে বাসস্থান ও খাদ্যের যোগানদাতাদের টুকটাক আদেশ শুনতেই হয়।
এই আদেশ পালন করতে গিয়েই বিনামূল্যে হাজার রংয়ের বাজার চাকুচক/চাটুচক দেখলাম। যারাই থাইল্যান্ডে যাবেন সুযোগ পেলে চাটুচক দেখার সুযোগ নষ্ট করবেন না। আর সাথে যদি বউ/বান্ধবী থাকে তবেও কেনাকাটা ঐখানেই শেষ করে ফেলতে পারেন।
আমি নিশ্চিত যত টাকাই আপনার সাথে থাকুক। চাটুচকে কেনাকাটা করে বাঙ্গালী বউ/বান্ধবীর মন ভরাতে পারবে এ ক্ষমতা কারো হয়নি। পুরো আস্ত বিমান নাকি ভর্তি হয়ে যাবে । তবুও চাটুচকে কেনাকাটার শখ মিটবে না।
এই বানী আামার নয় “ আমার চিৎকারে জড় হয়ে যাওয়া এ বাঙ্গালী বড় ভাই #তৌফিক
ভাইয়ের।
তৌফিক ভাই আমি দোয়া করি । সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এত তৌফিক না দেন যে আপনি ভাবীর মন ভরাতে পারেন। ভাবীর মন ভরানোর চেষ্টায় আপনি বার বার চাটুচকে নিয়ে যান। আর আসার সময় আমার জন্য উপহার নিয়ে আসুন।
ভাবী এবং দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল স্বামী তৌফিক ভাই শুভ কামনা। বিবাহের প্রতিটি দিবস কাটুক চাটুচকে ।
ঢাকার রাস্তায় বৃক্ষরেপান।
কোটি মানুষের ঢাকা নিয়ে মেয়রদের হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা। যাদের টাকা
নেই তারা কি করবে ঢাকা নিয়ে। শহরটা তো তাদেরও। মেয়র/কমিশনার না হয়ে কোটি
টাকা ছাড়া কি ঢাকার জন্য কিছু করা যায় ?
আমি এক পাগলের কাজ দেখলাম কাঠাল বাগান এলাকায়। সড়ক বিভাজনে সে ঘৃতকুমারী, ইক্ষু/গেন্ডারী/আখ আর লাল শাক বুনেছেন। আপনার বাড়ি কিংবা অফিসের সামনের সড়ক বিভাজনে আপনিও লাগাতে পারে বিভিন্ন গাছ।
গালাগালি তো অনেক করি। কিন্তু আপনি চাইলেই ঢাকা সবুজ হবে। আপনার একটা গাছই
ঢাকার সবুজের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে। আপনার বিশুদ্ধ অক্সিজেনের যোগানদাতা হবে। ঢাকার বাতাস পরিচ্ছন্ন করবে। সামনেই বর্ষাকাল গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আসুন একটা গাছ লাগাই।
আমি এক পাগলের কাজ দেখলাম কাঠাল বাগান এলাকায়। সড়ক বিভাজনে সে ঘৃতকুমারী, ইক্ষু/গেন্ডারী/আখ আর লাল শাক বুনেছেন। আপনার বাড়ি কিংবা অফিসের সামনের সড়ক বিভাজনে আপনিও লাগাতে পারে বিভিন্ন গাছ।
গালাগালি তো অনেক করি। কিন্তু আপনি চাইলেই ঢাকা সবুজ হবে। আপনার একটা গাছই
ঢাকার সবুজের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে। আপনার বিশুদ্ধ অক্সিজেনের যোগানদাতা হবে। ঢাকার বাতাস পরিচ্ছন্ন করবে। সামনেই বর্ষাকাল গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আসুন একটা গাছ লাগাই।
নগরের পাগল, নাগরিক পাগল
এক পাগল দেখি রাস্তায় পোস্টার খুলেছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এগুলো খুলছেন কেন? মেঘ বৃষ্টির দিন পলিথিনের পোস্টারগুলো ড্রেন জ্যাম করে দিবে। তাছাড় দড়িগুলো ছিড়ে রাস্তায় ঝুলে থাকে মানুষের সমস্যা হবে। নির্বাচন শেষ তাই পোস্টারগুলো খুলে ফেলছি।
Wednesday, April 22, 2015
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ঢাকায় চিকিৎসাকালীন সময়ে আবাসন ফ্রি
বন্ধু/ভাই/ব্রাদার এন্ড বোন/সিস্টার
আপনারা যারা বিনামূল্যে অথবা স্বল্প খরচে মানুষের চিকিৎসা করাছেন অথবা সহযোগিতা করেন। তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি ঢাকায় মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডিতে বেশকিছু ফ্রি আবাসন কেন্দ্র খোলা হয়েছে । যাতে থাকা ১০০ ভাগ বিনামূল্যে/ ফ্রি ।
আশা করি এই কেন্দ্রগুলো আপনাদের কার্যক্রম আরো গতিশীল করবে। আমি কিছু কেন্দ্রে রোগী ও আত্মীয়সজন রেখেছিলাম। তাদের সেবা অনেক ভাল।
আপনারা যারা বিনামূল্যে অথবা স্বল্প খরচে মানুষের চিকিৎসা করাছেন অথবা সহযোগিতা করেন। তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি ঢাকায় মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডিতে বেশকিছু ফ্রি আবাসন কেন্দ্র খোলা হয়েছে । যাতে থাকা ১০০ ভাগ বিনামূল্যে/ ফ্রি ।
আশা করি এই কেন্দ্রগুলো আপনাদের কার্যক্রম আরো গতিশীল করবে। আমি কিছু কেন্দ্রে রোগী ও আত্মীয়সজন রেখেছিলাম। তাদের সেবা অনেক ভাল।
কেন্দ্রগুলো নতুন। মানুষগুলো ভাল কাজ করেছে। সুতরাং সারাক্ষণ তাদের দোষ, ক্রটি না খুজে সহযোগিতা করুন।
কোটি টাকা ছাড়া কি ঢাকার জন্য কিছু করা যায় ?
কোটি মানুষের ঢাকা নিয়ে মেয়রদের হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা। যাদের টাকা
নেই তারা কি করবে ঢাকা নিয়ে। শহরটা তো তাদেরও। মেয়র/কমিশনার না হয়ে কোটি
টাকা ছাড়া কি ঢাকার জন্য কিছু করা যায় ?
আমি এক পাগলের কাজ দেখলাম কাঠাল বাগান এলাকায়। সড়ক বিভাজনে সে ঘৃতকুমারী, ইক্ষু/গেন্ডারী/আখ আর লাল শাক বুনেছেন। আপনার বাড়ি কিংবা অফিসের সামনের সড়ক বিভাজনে আপনিও লাগাতে পারে বিভিন্ন গাছ।
গালাগালি তো অনেক করি। কিন্তু আপনি চাইলেই ঢাকা সবুজ হবে। আপনার একটা গাছই
ঢাকার সবুজের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে। আপনার বিশুদ্ধ অক্সিজেনের যোগানদাতা হবে। ঢাকার বাতাস পরিচ্ছন্ন করবে। সামনেই বর্ষাকাল গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আসুন একটা গাছ লাগাই।
আমি এক পাগলের কাজ দেখলাম কাঠাল বাগান এলাকায়। সড়ক বিভাজনে সে ঘৃতকুমারী, ইক্ষু/গেন্ডারী/আখ আর লাল শাক বুনেছেন। আপনার বাড়ি কিংবা অফিসের সামনের সড়ক বিভাজনে আপনিও লাগাতে পারে বিভিন্ন গাছ।
গালাগালি তো অনেক করি। কিন্তু আপনি চাইলেই ঢাকা সবুজ হবে। আপনার একটা গাছই
ঢাকার সবুজের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে। আপনার বিশুদ্ধ অক্সিজেনের যোগানদাতা হবে। ঢাকার বাতাস পরিচ্ছন্ন করবে। সামনেই বর্ষাকাল গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আসুন একটা গাছ লাগাই।
Monday, April 13, 2015
বৈশাখ মানে ইয়ুজু তোমার কাছে ক্ষমাপ্রাথী ।
২০০৭/০৮ সালের দিকে আমি টাঙ্গাইলের এক শাড়ী হাট থেকে একটি শাড়ী কিনলাম। আমার অসম্ভব রূপবতী বন্ধু ইয়ুজুর জন্য। শাড়ী কিনে তাকে জানালাম তোমার জন্য বিশেষ উপহার আছে। পহেলা বৈশাখের দিন দুয়েক আগে তার অফিসের কাজে বাংলাদেশে এসে হাজির।
আমাদের এখানে ছুটি থাকায় আমি ফোন বন্ধ করে বিশেষ ঘুম দিয়েছি। আমার বাসার লোকজন যেখানে যেখানে খুজেঁ পাওয়া যায় সবখানে খোজ নিল। আমি নেই।
ইয়ুজুকে জানানো হল আমাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অবশেষে একদিন পর। আমার বন্ধুর কল্যানে শেষ বিকেলে শাড়ী নিয়ে আমি ইয়ুজুর হোটেলে হাজির হলাম। সে আমাকে বলল তাকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে। কিন্তু শুধু শাড়ি তো পড়া যায় না । সাথে আরো কিছু লাগবে। আমি ১ ঘন্টার মধ্যে ফিরব বলে, কি কি লাগবে তা আনতে গিয়ে পড়লাম সমস্যায়। ব্লাউজের সাইজ কি, পেটিকোটের রং কি হবে। সাথে শাড়ি আছে কিনা। তাহলে তারা মিলিয়ে দিবে।
রাত ৯টায় আমি বোনকে বললাম কোনভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তুমি উদ্ধার কর। সে শাড়ি পড়ানো এবং ব্লাউজ,পেটিকোট কেনার দায়িত্ব নিয়ে আমাকে উদ্ধার করল।
রাতে যখন ফিরলাম ততক্ষনে ইয়ুজু ঘুম।
ঘুমানোর আগে সে ছোট চিঠি লিখে গিয়েছে কাউন্টারে। অনুরোধ করল আমি যেন হোটেলে থাকি। তা না হলে আবারও হারানোর সম্ভবনা আছে। থাকার ভাড়া সে দিবে। হোটেল কতৃপক্ষ জানিয়ে দিল কোন সিট ফাঁকা নেই। ম্যানেজার জাহাঙ্গীর সাহেবের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হোটেলে আমার ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হল।
আমি আমার জন্য আনা বিশেষ ধরনের রেডিও শুনি । সাথে সাদা সাদা ডিম ফল খাচ্ছি। রেডিওতে কিছু শোনা যায না। শুধু ভু ভু আওয়াজ হয়। ভয়ানক রাত কোনভাব্ শেষ হয় না। এত নরম বিছানায় কি করে ঘুম হয়।
মহান ঘুম যখন আসি আসি, সূয উঠার সাথে সাথে ইয়ুজু রুমে ফোন দিল। কিন্তু ফোনের শব্দে কি আমার ঘুম ভাঙ্গবে? সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙ্গতে আসে। আমি ঘুম থেকে উঠে তার সাথে বের হলাম। ঢাকা শহর দেখতে।
লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকার রাস্তায়। ইয়ুজু ছবি তোলে আর আমি আমাদের বিশেষ ধরনের তৈরি নবাবী রিকশায় ঘুমাই।
দুপুর ১২টার দিকে আমার আপার বাসায় গেলাম মিশন শাড়ী পড়া বাস্তবায়ন করতে। আপা বাসায় আমি ঘুমাই আমার ভাগ্নি, আপা সবাই মিলে তাকে শাড়ি পড়িয়ে দিল। দুপুরের মাঝামাঝি বের হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দেখতে। নীলক্ষেত্রে এলাকা থেকে রিকশা প্রবেশ নিষেধ। আমরা হাটছি গন্তব্য টিএসসি হয়ে শাহবাগ।
টিএসসি থেকে শাহবাগ যাওয়া আগেই ইয়ুজু মহা বিরক্ত সে আর যাবে না। কারণ কারা যেন তার পেটে পিঠে চিমটি কাটছে বার বার। আমিও ভীড়ের মধ্যে না যাওয়ার পরামশ দিলাম। মহা বিরক্ত হয়ে আমরা রোকেয়া হল পার হয়ে ভিসি চত্ত্বরের দিকে হাটছি।
এদিকে রাস্তা কিছুটা ফাঁকা। চিমটি কাটার ভয় নেই। ইয়ুজু একটু হেটেই মিনিটের জন্য দাড়ায়। শিশুদের ছবি তুলে।
আমি সামনে সামনে হাঁটি একটু পর পর তার জন্য দাড়াই। কিছুক্ষণ পর দেখি মানুষজন সব আমার দিকে কেমন ভাবে তাকায় । ভাল লক্ষ্য করে দেখি ইয়ুজু তার শাড়ি খুলে হাতে নিয়ে হাটছে, শুধু ব্লাউজ আর পেটিকোট পড়ে। ভয়ানক দৃশ্য। ইয়ুজু স্বাভাবিক ভাবে মানুষের ছবি তুলছে। আমি ইয়ুজুকে তাড়াতাড়ি বুঝালাম যে সে এই ভাবে শাড়ি ছাড়া ঘুরতে পারে না।
শাড়িটিকে চাদরে মত তার শরীরে পেচিয়ে বাসার দিকে রওনা হলাম। লক্ষ্য করে দেখি তার ফসা পিঠে,পেটে অসংখ্য চিমটির দাগ।
রাস্তা সব মানুষজন আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কয়েকজন মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে কিছুটা শাড়ি পড়িযে। বাসার দিকে রওনা হলাম।
যদি এইরকম হয় তাহলে মেয়েরা কি করে উৎসবে যোগ দিবে? তারা উৎসব করতে জানে না। তাদের উৎসব করা শিখাতে হবে। তুমি পুলিশকে ঘটনাটা বলো। কয়েকজন পুশিলসহ বলল এত বড় উৎসবে এই রকম কিছু হবেই। ছেলেরা একটু মজা করবেই।
আমার সাথে ইয়ুজুর যোগাযোগ নেই। বহুবছর হয়ে গেল। কিন্তু বছর বৈশাখ এলে মনে হয়।
আমি মনে প্রাণে বলি ইয়ুজু আমরা ক্ষমাপ্রাথী। আমরা সত্যি উৎসব করতে জানি না।
Tuesday, April 7, 2015
ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহর। ঢাকায় নেই, নেই আর নেই। শত অভিযোগ ঢাকা নিয়ে ।
ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহর। ঢাকায় নেই, নেই আর নেই। শত অভিযোগ ঢাকা নিয়ে
। কত জ্ঞানী/গুণী মানুষের পিএইচডি,টকশো,আলোচনা, সভা,সেমিনার,মিটিং, মিছিল
ঢাকার সমস্যা ঘিরে। সবাই বাস অযোগ্য ঢাকার পিছনে অন্য কাউকে খুজতে ব্যস্ত।
কিন্তু বাস অযোগ্য ঢাকার তৈরির পিছনে নিজের চেহারা খুঁজে পাই না।
শুধু অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া নয়। আমরা সামর্থ্য অনুসারে নিজেদের চারপাশ সবুজে রাঙ্গাতে ব্যস্ত পুরো বর্ষা জুড়ে। আসুন একটা গাছ, একটা বীজ কিংবা আপনার টবে বড় হয়ে যাওয়া গাছটা রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় অথবা সড়ক বিভাজনে লাগিয়ে দেই। কারণ সবার দাবী ঢাকা বাসযোগ্য হোক।
শুধু অভিযোগে আর কাদা ছুড়াছুড়িতে ঢাকা এ অবস্থা পাল্টাবে না। আর অভিযোগ নয়। নিজেরা চেষ্টা করি । কারণ ঢা
কা বাস অযোগ্য হয়, আমাদের কারণে। আর ঢাকা সবুজ হবে যদি আপনি/আমি চাই।
আপনার লাগানো গাছে কে ফল খাবে, কিংবা গাছ থাকবে কিনা এই চিন্তা বাদ দিন। বরং গাছ লাগানোর সময় দেশীয় ফলজ,বনজ এবং ঔষধি গাছকে প্রাধান্য দিন। ফল,ফুল না পান। বিশুদ্ধ অক্সিজেন তো পাবেন-ই।
থানকুনি, পুদিনা, মেহেদি,পেঁপে, তুলসী,পাথরকুচি গাছগুলো আমার সড়ক বিভাজনে লাগাছি। আপনার এলাকায় কবে গাছ লাগাবেন? আপনি ডাকলেই আমি/আমরা হাজির হব।
শুধু অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া নয়। আমরা সামর্থ্য অনুসারে নিজেদের চারপাশ সবুজে রাঙ্গাতে ব্যস্ত পুরো বর্ষা জুড়ে। আসুন একটা গাছ, একটা বীজ কিংবা আপনার টবে বড় হয়ে যাওয়া গাছটা রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় অথবা সড়ক বিভাজনে লাগিয়ে দেই। কারণ সবার দাবী ঢাকা বাসযোগ্য হোক।
শুধু অভিযোগে আর কাদা ছুড়াছুড়িতে ঢাকা এ অবস্থা পাল্টাবে না। আর অভিযোগ নয়। নিজেরা চেষ্টা করি । কারণ ঢা
কা বাস অযোগ্য হয়, আমাদের কারণে। আর ঢাকা সবুজ হবে যদি আপনি/আমি চাই।
আপনার লাগানো গাছে কে ফল খাবে, কিংবা গাছ থাকবে কিনা এই চিন্তা বাদ দিন। বরং গাছ লাগানোর সময় দেশীয় ফলজ,বনজ এবং ঔষধি গাছকে প্রাধান্য দিন। ফল,ফুল না পান। বিশুদ্ধ অক্সিজেন তো পাবেন-ই।
থানকুনি, পুদিনা, মেহেদি,পেঁপে, তুলসী,পাথরকুচি গাছগুলো আমার সড়ক বিভাজনে লাগাছি। আপনার এলাকায় কবে গাছ লাগাবেন? আপনি ডাকলেই আমি/আমরা হাজির হব।
Monday, April 6, 2015
অক্সিজেনের কারখানা বানাই।
অক্সিজেনের কারখানা বানাই। |
এবার আমারও দায় শোধ করার প্রয়োজন। পুরো শহরটাই আমার। তাই আমার শহরে মাটি পেলেই গাছ লাগাই। অক্সিজেনের কারখানা বানাই।
Friday, March 20, 2015
স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে খাবার কি করে রঙ্গিন করবেন।
অপরাজিতা ফুল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে নীল নুডলস |
আজকের বিষয় কিভাবে খাবার রঙ্গিন করবেন। আজ খাবার নীল কিংবা আকাশী রং তৈরি কৌশল জানাব।
খাবারে কৃত্রিম রং ব্যবহারে কিডনি, হৃদপিন্ড, অস্থিমজ্জাসহ সমগ্র দেহযন্ত্রের ক্ষতি হয়। এটা সবাই জানেন। তারপরও রঙ্গিন খাবারের প্রতি কিছুটা আকর্ষণ থাকেই। আর এই আকর্ষনের কারণে বিষাক্তটেক্সটাইল কালারগুলো আমাদের বাসা ও হোটেলগুলোর রান্না ঘরে স্থান করে নিয়ে। তাছাড়া বাজারে যতই ফুড গ্রেড কালার স্বাস্থ্যকর বলা হোক না কেন তা স্বাস্থ্যকর নয়। খাদ্য ও পানীয়ে ব্যবহৃত কৃত্রিম রংগুলো বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
অপরাজিতা ফুলের রং ব্যবহার করে নীল জর্দা,আমি ভাবছি রান্না নিয়ে একটা বই লিখব। তার প্রাথমিক চেষ্টা। |
তবে ক্ষতি কি যদি নিজেই তৈরি করা যায খাবারে ব্যবহারের রং। নিজের তৈরি রঙে খাবার রাঙিয়ে পরিবেশন করুন পরিজনের মাঝে।
পোলাও শুধু সাদা হবে তা নয়, চাইলে আপনি একটু নীলের ছোঁয়া দিতে পারেন । তেমনি ভাবে ভাত,জর্দা, নুডলসসহ বিভিন্ন খাবারে নীল কিংবা আকাশী রংয়ের ছোঁয়া আনতে পারেন। অপরাজিতা ফুল ব্যবহার করে।
বাসার টবে একটা অপরাজিতার বীজ বুনে দিন। তারপর মাসখানিকের মধ্যে ফুল পাবেন। ফুলগুলো একটু কাঁচা থাকা অবস্থায় সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে নিন। এবার একটি সচ্ছ কাপ বা গ্লাসে একটু গরম পানি নিন এবং শুকনো অপরাজিতা ভিজিয়ে রাখুন। হয়ে গেল স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ্য নীল রং । এবার পরিমাণ মত রং মিশিয়ে নীল/আকাশী জর্দা, নীল/আকাশী ভাত, নীল/আকাশী নুডলস, নীল সরবত তৈরি করতে পারেন।
এটি বিখ্যাত অপরাজিতা ফুল |
চোখের ক্ষুদা বলে একটা কথা আছে। যার পেট পূর্ণ থাকবে আশা করি সেও একটু চেখে দেখবে আপনার রান্না। যতই দূর্নাম থাকুক না কেন আপনার রান্না নিয়ে অপরাজিতা আপনাকে জয়ই করবেই।
আগামীতে খাবার রঙিন করার আরো কৌশল বিনামূল্যে শিখানো হবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)