Tuesday, November 3, 2015

ভারতে কেন মানুষ যায়? ঘুরতে, চিকিৎসা করতে, কেনাকাটা করতে?


যে কারণেই ভারতে যাক মানুষ। ভারত ঘুরার জন্য মন্দ নয়। যারা শুধু কলকাতা নিউ মার্কেট ঘুরে বিস্তর প্রশান্তিনিয়ে দেশে ফেরেন। তাদের জন্য আরো কিছুটা সুখ যোগ হতে পারে কলকাতার রবী ঠাকুরের জোড়াঁসাকো বাড়ি, মার্বেল প্যালেস, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, নন্দন, ন্যাশনাল লাইব্রেরী, আলিপুর চিড়িয়াখানা। নিউমার্কেটের আসে পাশে যারা থাকবেন। তাদের একটু হাঁটা অভ্যাস আর পকেটে ১০০ রুপী থাকলে এই জায়গাগুলো ঘুরে আসতেই পারেন । একটি দিনের কিছু সময় ব্যয় করেই ঘুরা হয়ে যাবে। বেশির ভাগ জায়গায় যেতে খরচ হবে বাস ভাড়া মাত্র ৬রুপি। খাবারের জন্য ভাল নন্দন আর যমুনা বাঙ্কোয়েট এর কাছে খালেকের খাবার দোকান।
ঢাকা থেকে মাত্র ৫০০/৬০০টাকায় চাইলে আপনি কলকাতায় পৌছে যেতে পারেন। সময়ও অর্থ সবই বাঁচবে। থাকার জন্য ১০০ ভাগ ফ্রি থেকে ২০০/৪০০ এবং ৬০০ থেকে এসি রুম শুরু ৫০০০/৭০০০হাজার রুপির রুম পাবেন।
থাকা/খাওয়া যাই হোক। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আমার আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে বিনামূল্যের চিকিৎসা কিংবা স্বল্প ব্যয়ের চিকিৎসা।
সাবান, স্যাম্পু,গাড়ি, সংস্কৃতি বেচাবিক্রির পাশাপাশি চিকিৎসা নিয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের মেডিক্যাল পর্যটন। সারা দুনিয়া থেকে এখন মানুষ আসে ভারতে চিকিৎসা করাতে। সেই চিকিৎসায় অান্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু আন্তরিকতাটুকু পুরোটাই টাকা দিয়ে কিনতে হয়। এই টাকায় কেনা আন্তরিকতা ছাড়াও ভারতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পব্যয়ে চিকিৎসার। গেল বছর কয়েক আমি ভারতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে। যারা চিকিৎসাকে পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করে না। চিকিৎসা তাদের কাছে মানে সষ্ট্রার সেবা করার সুযোগ। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানুষের ভিড় থাকে।
আরো কিছু বেশিদিন বাঁচতে, কারো কাছ থেকে একটা নীল অপরাজিতা মুঠোবন্দি করবে বলে দুনিয়াব্যাপী বিত্তশালী মানুষদের গন্তব্য যখন ভারত , তখন এই মেডিক্যাল পর্যটন নিয়ে আপনি বিভ্রান্ত হবেন-ই। তাই চিকিৎসা সেবা নামক পণ্য কিনতে ভেবে কিনুন। এটা আপনার অধিকার । শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন।
যাদের একটু টাকা পয়সা কম আছে। তারা সব ঘুরে ফিরে কলকাতায় পিজি হাসপাতালে ঘুরে আসতে পারেন। ২রুপিতে যে এখনো চিকিৎসারে শুরু করা যায় তার স্বাদ নিতে পারবেন পিজিতে। আমি নিজেও নিয়েছি। ২রুপির টিকেটে মিনিট ২০/৩০ ডাক্তার আপনার সাথে কথা বলবে। তারপর কপাল ভাল মন্দ যাই হোক কিছু বিনামূল্যের ঔষধও পেতে পারেন।
এই বিনামূল্যের কিংবা স্বল্পমূল্যের চিকিৎসার অনেক সুযোগ বাংলাদেশেও আছে। ঢাকা মেডিক্যাল তার অন্যতম ‍উদাহরণ। এই হাসপাতাল থেকে রোগী ফের যাবার অভিজ্ঞতা খুবই কম। শুধুই গালাগালি করে একটি দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তারচেয়ে আপনার পরার্মশ,দান,অনুদানের ভাগ দিন এই দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোতে। সরকারী হাসপাতালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি অফিস থাকে সেখানে অনুদান গ্রহণ করা হয়। আপনার অনুদান নিশ্চয় অনেক সীমাবদ্ধতার জয় করতে সহযোগিতা করবে।
ডাক্তারা তো খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু আপনিও যদি একবার ধন্যবাদ না দিন তাদের । তবে কি করে তারা ভাল ব্যবহার করবে। কবে এদেশের মানুষ একবার ধন্যবাদ জানিয়েছি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাদের হাজার সীমাবদ্ধতার মাঝেও সেবা দেবার জন্য।
আমার মত ভাগ্যবান রোগী সবাই হয় না। ২রুপিতে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পথে কেউ হয়তবা দুই জোড়া নীলকন্ঠ/অপরাজিতা ফুলসহ আমার মত বলবে না নিয়ম করে চলো। সুস্থ হবেই। কে আমার মত ভাগ্যবান আর কে নয় তার হিসেব মিলিয়ে লাভ কি। ক্ষতি কি যদি আপনি শুরু করেন। আপনার পাশের যে মানুষগুলো চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত। তাদের জন্য আশেপাশের বিনামূল্যের/স্বল্পমূল্যের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সহযোগিতা করুন। আপনি সেবা পাবার পর, অন্যের সেবা পাওয়ার পথ প্রস্থ করুন।
বিশ্বাস,আস্থা,ভালবাসা নিয়ে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে আপনিও গালাগালি ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে পারেন। আপনার কাজ করার পথ আপনাকেই সুগম করতে হবে। আমারও চাই প্রতিটি রোগীর বিছানায় সকালবেলায় দুটো অপরাজিতা ফুল নিয়ে কেউ একজন বলবে শুভ সকাল। পরাজিত হওয়া যাবে না, কোন ভাবেই না। ফুল কি অপরাজিত করে নাকি? রোগ শুধুই ঔষুধে সারে না। দু একটা অপরাজিতা ফুলও ভয়ানক কাজ করে সুস্থ হতে।
পাশাপাশি যদি দেওয়ালে লেখা দেখেন “সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ” রোগ অপরাজিত হবেই এই ভালবাসার কাছে।

Saturday, August 22, 2015

মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের সামনে থেকে সিটি করপোরেশনের ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্র অপসারণ প্রসঙ্গে।



বরাবর
মাননীয় মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
৮১, গুলশান এভিনিউ, গুলশান
ঢাকা ১২১২ ।

বিষয় : মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের সামনে থেকে সিটি করপোরেশনের ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্র অপসারণ প্রসঙ্গে।

জনাব
শুভেচ্ছা নিবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে অবস্থিত মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালটি স্বল্পব্যয়ের উন্নত মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু সেবা প্রাপ্তি আস্থারস্থল। এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে জনগণকে উদ্ধুদ্ধকরণ, পরামর্শ, সহায়তা প্রদান, গবেষণা কার্যক্রম, সরকারী ও বেসরকারী চিকিৎসক, নার্স, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, মাঠকর্মীদের প্রশিণ প্রদান, সর্বোপরি পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে এটি একটি জনাপ্রিয় নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রসিদ্ধ। 

এখানে প্রতিদিন গবেষণা,প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছাড়াও শত শত নারী, শিশু স্বাস্থ্যসেবা গ্রহনের জন্য আসেন। এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন  হাসপাতালটি প্রবেশ পথে বিশাল অংশ জুড়ে সিটি করপোরেশনের ময়লা আবর্জনা স্থানান্তরের কেন্দ্র গড়ে তোলা  হয়েছে। প্রবেশ পথটির একটি বড় অংশ বন্ধ করে সারাদিন ময়লা স্থানান্তরের কাজ চলে। ফলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য যেমন যুক্তিপূর্ণ তেমনি জরুরি প্রয়োজনে রোগী বহনকারী গাড়ি প্রবেশ ও বাহিরে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এমতবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে অতি দ্রুত ময়লা স্থানান্তর কেন্দ্রটি বন্ধ/স্থানান্তরের জন্য যথাযর্থ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করছি।

সীমিত সম্পদ আর অপ্রতুল জনবল মাধ্যমে আপনার সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নাগারিক সেবা প্রদানের যে নিরলস পরিশ্রম করছে তার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।


সৈয়দ সাইফুল আলম

অনুলিপি :
১.প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা
২.প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা
৩.স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

সংযুক্তি :  ময়লা অপসারণ কেন্দ্রের ছবি।

Tuesday, July 7, 2015

খেলার মাঠে, মেলা নয়।

“খেলার মাঠে মেলা নয়” এটি আইন। বিগত সময়ে এই আইনের ভিত্তিতে আদালত বেশকিছু মাঠে মেলা বন্ধ করার নির্দেশ ও দিয়েছেন।

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০ এ খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তনে বাধা-নিষেধ প্রসঙ্গে  বলা আছে,

৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷

কিন্তু শ্যামলী খেলার মাঠ যেন আইন আদালতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে এখানে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজারখানি বাতির আলোতে আলোকিত হয় মাঠ মেলা উপলক্ষ্যে। বিদ্যুৎ আসে সরকারী লাইন থেকে। পুরো দেশ কিছু মানুষের জন্য মগের মুল্লুক। তারা যা চায় তার জন্য আইন স্থবির হয়ে যায়।

আপনার আমার নিরবতায় এই মানুষগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা কন্ঠ ছাড়ি জোরে । তারা পালাতে বাধ্য হবেই।

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন ২০০০।

 ধারা ৫
৫৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাইবে না৷




মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০

মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০

Monday, July 6, 2015

প্রত্ন সম্পদ রক্ষায় মীর জাফরদের চিনে রাখুন।

লালবাগ কেল্লার দেওয়াল ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি থামানো হয়েছে। এটি অবশ্যই জনগণের বিজয়। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরই যে শুধুমাত্র এই অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিল তা নয়। এই অপকর্মের যারা প্রধান তারা অধিকাংশ দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও বিদেশ থেকে কয়েক ডজন ডিগ্রীধারী লোকরা। কেল্লার দেওয়া ভাঙ্গা ও পার্কিং তৈরি করার জন্য যে বিশেষজ্ঞ কমিটি মতামত দিয়েছেন । তার এখন গর্তে ঢুকে দায় এড়াতে চাচ্ছেন। তারা টকশোতে নীতি নৈতিকতার ঝড় তুলেন। আর ফেরার পথে কেজি ধরে বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ বিক্রি করে দেন। 

বিশেষজ্ঞ কমিটির ভদ্রলোদের তালিকাটা প্রকাশ করা দরকার। তারা সকলেই দাবী করেন তারাই দেশের একমাত্র বুদ্ধিজীবি। ইতিহাসবিদ, স্থপতি, প্রত্নতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির তালিকাটা জনসাধারনের কাছে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই ভাঙ্গা হয়েছে কেল্লার দেওয়াল ও গড়ে তুলা হয়েছিল পার্কিং।

আপনি আমি এই ভেবে নিশ্চিন্ত আছি, যে এই টকশোবাজ,বুদ্ধিজীবি, ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদরা আর যাই করুক দেশের ঐতিহ্য বিনিষ্ট হতে দিবে না।

কিন্তু তাদের অন্যরূপ আমরা দেখিনি। তাদের মত কোন কোন ভদ্রলোকরাই আমাদের প্রত্ন সম্পদ যুগে যুগে পাচারে ইন্ধন বা সমর্থন নিয়ে এসেছে । তাদের মত কোন বুদ্ধিজীবির বুদ্ধি বেচেই ফ্রান্সের গিমে যাদুঘর প্রত্ননির্দেশন সমর্থন জোগায়।

আর যদি কোন বুদ্ধিজীবি বলে “আমি তো কমিটিতে থাকতে চাই লোকজনের দাবীর কারণে থাকি। কিংবা আমি তো জানিই না কি করে হয়ে গেল” স্যার ভদ্রলোক আপনার দায় স্বীকার করে কেটে পড়ৃন। দেশের প্রত্নসম্পদ রক্ষায় আপনারই মূল মীরজাফর।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভদ্রলোক বিশেষজ্ঞদের হয়তবা কোন বিচারই হবে না এই অপকর্মের জন্য। কারণ বিচারের জন্য যারা কন্ঠ ছাড়বে তারাই তো বুদ্ধিজীবি। এই বুদ্ধিজীবির তালিকাটা জনগণের সামনে থাকলে আর যাই হোক প্রতিরাতে টকশোতে যখন তাকে দেখবেন। তার স্মরণে একটু হলেও থুতু ফেলে দিতে পারেন আপনার টয়লেটে।

জনাব বিশেষজ্ঞ
ইনবক্সে আপনার গালি গ্রহণযোগ্য। আর আমি আপনার মতামতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং আপনার ইনবক্স জনতার কাছে উমুক্ত করব না। তবে নামের তালিকা কিন্তু জনগণ চাইলেই দেখতে পারে। এটা জনগণের অধিকার। আপনাদের বুদ্ধি বেচার দিন শেষ হবে, একদিন।
শুভ কামনা।
ছবি ইন্টারনেট।

ঈদ আয়োজনে শিশুদের পরিচয় হোক, সে শিশু।

ছবি ইন্টারনেট
আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকগুলো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেলাম। ফেইসবুক, ইমেইল এবং ডাকযোগে। বেশির ভাগ পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠান। আয়োজকরা সবাই তরুন/তরুনী এবং তরুণদের সংগঠন। ধন্যবাদ আপনাদের এই আয়োজনের জন্য।

অনুষ্ঠানগুলোতে পথশিশুদের পোষাক বিতরণ, টোকাইদের সাথে ঈদ উৎসব, পরিত্যাক্ত শিশুদের পোষাক বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের পোষাক বিতরন, কেউ কেউ বা তাদের আয়োজনের শিরোনাম দিয়েছেন পতিতাদের সন্তানদের ঈদ পোষাক বিতরণ।

আমি নিজেও আগে এই রকম ব্যানারেই কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের উচিত এই শব্দগুলোর ব্যবহার বন্ধ করা। পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শব্দগুলো আমাদের বৃহৎ কর্মকান্ডগুলোকে ছোট বিন্দুতে আবদ্ধ করে ফেলছে। সারাবছর যে নামেই তাদের পরিচয় হোক না কেন। বছরের একদিন যে ঈদকে ঘিরে আপনার আয়োজন সেইদিন শিশুর পরিচয় হোক, সে শিশু।

পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান এই শবদ্ধগুলো তাদের স্বাভাবিক ঈদ উৎসবটাকে ম্লান করে দিতে পারে। আমরা হয়তো একটা পোষাকই দিব। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের কাছে কোনভাবেই আমরা শিশুদের পথশিশু/পতিত্যাক্ত/টোকাই/পতিতাদের সন্তান বলে পরিচয় করে দিতে পারি না।

আসুন ব্যানারগুলো যদি সম্ভব হয় আজই ঠিক করে নেই। তা না হলে আগমীবার ঠিক করার প্রস্তুতি রাখি।
আপনাদের কর্মকান্ডে আমি মুগ্ধ এবং আমাকে যারা অনলাইলে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শিশুদের পোষাক বিতরণ অনুষ্ঠান সফল হোক।

শুভ কামনা রইল।

Thursday, June 25, 2015

পুরান ঢাকার ইফতার। স্বাদ আর দরদাম

 
নিয়মিত২০১০ সাল পর্যন্ত আমি আর তানভীর ঢাকার অলি-গলিতে খাবারের সন্ধানে ঘুরেছি  । ধানমন্ডি, হাজারিবাগ, মিরপুর,পুরান ঢাকা, আটিবাজার, বনশ্রী, কল্যানপুর, পাগলা.... যেখানে মোটামোটি খাবারে গন্ধ পাওয়া গেছে, আমরা ঐখানেই ছুটেছি। এখনও সে ঢাকায় আসলে আমরা আয়োজন করে খাবারের খুঁজে বের হই। আমি খুব বেশি খেতে পারি তা নয়। আমি খাবারের দোকানের তালিকা টুকে রাখি মনে মনে।  কোথায় উটের মাংসের খিচুড়ী, ডাল মাখনি, বিউটি, জামের জুস, দুধ আদার চা, এলাচ চা, সুসি, দই বড়া, জিরা পানি, খেতাপুরী, ঢং সমুচা, মায়াবী পরটা, মহিউদ্দিনের কাটা মসলার ডাল ভুনা, বেগুন র্ভতা কিংবা ফাইসা মাছের ভাজি, সকাল বেলার ছানা-লেবু, রায়ের বাজারের বড় ড্যাগের শরবত, শাহজাহানপুরে কলোনীর পারদ কবুতরের হালুয়া কোনকিছুতেই আপত্তি নেই  আমাদের। যে খাবার আমাদের মুখে লাগেনি তা-ই আমাদের কাছে নতুন খাবার। আর তাই একবার পরীক্ষা করে নিতে আমাদের আপত্তি নেই।  যদি স্বাদ ভাল হয় তবে তানভীর ভয়ানক হয়ে উঠে। যেমন: কিছু বিরিয়ানীর দোকানের ৩/৪প্লেট বিরিয়ানী সে চালান করে। গাজীপুরের বকর ভাই নামের এক ব্যক্তির দোকানের ২৬ রকমের ভর্তা-ভার্জির সাথে ৬প্লেস ভাত সাবার হয়ে যায়। নারায়ানগঞ্জের  মাওরা হোটেলের ৪প্লেট ভাত সাথে অগণিত মাংস ভুনা তানভীরের খাদ্যের প্রতি ভালবাসার নমুনা। ঢাকা পিজা নামের এক দোকানের পিজাতে তার অরুচি নেই। অরুচি নেই কলিকাতা বিরিয়ানীতেও, নীলক্ষেতের তেহারী খেয়ে প্রেসার বেড়ে নীল হয়ে যাওয়া তার খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ফলের ব্যাপারেও তার আপত্তি নেই । কেজি ৫ আম এক রাতে হলেই ভাল। ২৫০ লিচু খেয়েও যখন শান্তি আসে না এক রাতে। এরপরের বছর আখাউড়ার কাছে মকন্দপুরে এটা আস্ত লিচুর বাগান রেখে দিল। আমার ডজনখানি মানুষ সেই বাগান ধ্বংস করে দিয়েছিলাম একদিনেই।


এই শহরে (Dhaka) যত মোড় আছে, আছে গলি তত গলি/মোড়ে তানভীরের বান্ধবী আছে। আর সেই বান্ধবীদের বাড়ি মোড়ের বিখ্যাত খাবারের দোকানদারটি তানভীরের পরিচিত। এরকম কথা আমাদের আড্ডায় খুবই পরিচিত। সেই তানভীর ইউরোপ পাড়ি জমাছে স্থায়ী ভাবে। দিন দুয়েক আগে এসে বলল দোস্ত আয় শেষ একটা ঘুরতি দিয়ে আসি। সব পুরান জায়গাতে। সাথে স্মৃতিগুলো একটু ঘর্ষে নেই।  আমরা স্মৃতি ঘর্ষতে গেলাম চকবাজারে। চকবাজারের ইফতার নিয়ে আমার কোন শখ আহ্লাদ নেই। তারপরও তার সাথে যাওয়া।  আমি চাই জীবনের আরো বহুবার দোস্ত তোর সাথে স্মৃতি ঘষাঘষি খাবে। তুই ভাল থাক।


তানভীরের সাথে ইফতারে কিছু মূহুর্ত এবং খাবারে দরদাম। সময় থাকলে পুরনা ঢাকার চকবাজারের ইফতার বাজারে ঘুরে আসতে পারেন। এক চকবাজারেই পেতে পারে ঢাকাইয়া ইফতারে নানা পদ।




 বড়লোকের পুলায় খায়: চকবাজার এলাকায় ইফতার বাজারে গেলেই  “ বড়লোকের পুলায় খায়, ঠোঙ্গায় ভইরা লইয়া যায়” হাক ডাক শুনতে পাবেন। বিভিন্ন ধরনের মাংস,ডিম, ছোলা,বুট, চিড়া, ঘি প্রভৃতির সমন্বয়ে তৈরি হয় বড়লোকের পুলায় খায়। এই খাবারটি কেজি ধরে বিক্রি হয়।
২০১৫ সালের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০টাকা ধরে।


বি:দ্র: যারা  বড়লোকের পুলায় খায় খেয়ে অভ্যস্থ নয় তারা প্রথমবার ২৫০ গ্রামের বেশি কেনার দরকার নেই।




আস্ত হাসের ভুনা: খাবারের জন্য বিখ্যাত পুরানা ঢাকা সব আস্ত আস্তই যেন একটা আলাদা ভাব নিয়ে আসে। পাবেন আস্ত হাঁস ভুনা, সাথে ডিম সিদ্ধ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি পিস হাঁস।

সুতা কাবাব: পুরান ঢাকার খুবই বিখ্যাত খাবার। তবে মুড়ি ভর্তা কিংবা পরটা ছাড়া খেলে এর স্বাদ তেমন পাবেন না। ৫০ থেকে ১০০ টাকার যে প্যাকেট পাওয়া যায় প্রথমবার তাই কিনতে পারেন।
রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম কাবাব। এই কাবাবের আবার রকমফের আছে। ঢাকাইয়াদের প্রিয় এক পদ সুতি কাবাব। বিশেষ করে ইফতারির পদ হিসেবে অনেক অনেক জনপ্রিয়। মুড়ি মাখার সাথে মেখে কিংবা পরোটা দিয়ে খেলে সুতি কাবাবের আসল স্বাদ মিলবে। শুধু সুতি কাবাব খেয়ে এর স্বাদ পাওয়া যাবে না। - See more at: http://www.priyo.com/food/recipes/6467.html#sthash.WcK0MT0s.dpuf

শাহী জিলাপী: কত বড় জিলাপী দেখেছেন জীবনে। চকবাজারে পাবেন ১কেজি থেকে ২কেজি ওজনের জিলাপী। কেজি ১৬০টাকা।



আস্ত খাসির রান: ঢাকাইয়া ইফতারে আস্ত খাসির রান থাকবে না তা হবে না। খুব সুন্দর আলিশান প্যাকেটে আস্ত খাসির রান মিলবে। দাম ৩৫০টাকা প্রতিটি।

আস্ত কোয়েল পাখি ভুনা: সকল কিছু আস্ত ভুনা পুরান ঢাকার খাবারের বিখ্যাত রূপ। আস্ত কোয়েল ভুনার দামটাও হাতের নাগালে মাত্র ৬৫টা প্রতিটি। এর স্বাদ অনেকটা কবুতর ভুনার মত। 


                                            
দই বড়া: এই খাবারটি নিয়ে আমার এবং আমার দোস্তের খুবই অনিহা আছে তাই এর সকল প্রকার তথ্য প্রদান থেকে বিরত রইলাম।





কিভাবে যাবেন চকবাজার?
শাহবাগ থেকে রিকশায় ভাড়া ৫০টাকা
আজিমপুর, পলাশী, বঙ্গবাজার থেকে রিকশা ভাড়া ৩০/৪০টাকা।



আর এই লিংকে পাবেন ঢাকাইয়া ইফতারের তথ্য ..  http://bangla-jungle.blogspot.com/2015/06/blog-post_25.html

খাবারের ছবি ফেবুতে দেওয়া এ প্রকার অপরাধ। তাই খাবারের ছবি প্রদান থেকে বিরত থাকুন।








হনুমানটি রক্ষায় এগিয়ে আসুন।

 https://youtu.be/SG88zXbVbCs
এই হনুমান টি আমি আজ দেখা পেয়েছি ঢাকার কাছে ভাকুর্তা এলাকায়। স্থানীয় এলাকাবাসী হনুমান খাবার ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করছে। একদল  শিশু হনুমান পরিচর্যায় নিয়োজিত। আমি যাওয়ার পর পর বলা হল কোন ভাবেই হনুমানকে বিরক্ত করা চলবে না।


আমি তাদের শর্তে রাজি হলাম। গত কয়েকদিন আগে ঐ এলাকায় দুটি শিয়াল শাবক বিক্রির জন্য ধরা হয়েছিল। আজ সেই এলাকার মানুষজন হনুমানটি রক্ষার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত।  এবার বাকি কাজ বন্য বিভাগের।  প্রতিকূল এই পরিবেশে হনুমানটি বেঁচে থাকা কঠিন হবে। তাই যথাযথ কতৃপক্ষ যদি এগিয়ে আসে। তবে হনুমান রক্ষা করা সম্ভব হবে।


মুখপোড়া হনুমান বা লালচে হনুমান (ইংরেজি: Capped langur, Capped leafed monkey) বানর প্রজাতির একটি স্তন্যপায়ী প্রানী । এরা Cercopithecidae পরিবারের অর্ন্তভুক্ত এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus । বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, চীন, ভারত এবং মায়ানমারে এদের পাওয়া যায়। এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল হচ্ছে ক্রান্তিয় ও নিরক্ষীয় শুষ্ক বনভূমি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, শিল্পায়ন ও কৃষিক্ষেত্রের সম্প্রসারণের দরুণ বনভূমি পরিমাণ হ্রাসের কারণে এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।

বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।