Saturday, May 7, 2022

পলাশের খিচুড়ি। আমাদের অর্থনীতি

পলাশের খিচুড়ি। আমাদের অর্থনীতি ধোয়াঁ ওড়ানো গরম খিচুড়ি, আলু ভর্তা ও পিয়াজ-মরিচ ভর্তাসহ পুরো প্যাকেজ মাত্র বিশ টাকা। সাথে ডিম ভাজি বা ডিম ভুনা নিলে দাম হয় সবসহ ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা । ফুটপাতের রঙ্গিন ছাতার নিচে বসে পলাশের ভুনা খিচুড়ির স্বাদ যতটা ভাল লেগেছে। তারচেয়ে ভাল লেগেছে দুনিয়ার তাবৎ অর্থনীতির সংজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে দ্রবমূল্যের বাজারে গত ৪ বছরে খিচুড়ির দাম স্থিতিশীল রাখার সংজ্ঞা। গেল ৪ বছরে দুনিয়াব্যাপী চাল,ডাল,তেল,নুন দাম বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু যে ডাল, চাল,তেল, নুন মিলিয়ে যে খিচুড়ি হয়, পলাশের খিচুড়ির দাম বাড়েনি এক টাকাও। অর্থনীতির মারপ্যাচ ডিঙ্গিয়ে পলাশ কি করে সম্ভব করেছেন? ধানমন্ডি ২৭ থকে একটু এগিয়ে মোহাম্মদপুর যাবার রাস্তায় পশ্চিম পাশে র‌্যাবের অফিসের সামনে পলাশের সাথে কথা হল। আমি: খিচুড়ির চাহিদা কেমন? পলাশ: বেচা-কেনা ভালই, ১০০ থেকে ১২০ প্লেট বিক্রি হয়। আমি: খিচুড়ি সাথে দুই পদের ভর্তা, ২০ টাকায় পুষা ক্যামনে? পলাশ: পুষায় লাভ একটু কম হয় কিন্তু লস নাই। আমি: দিনে থাকে কত, মাস্তান পুলিশকে টাকা পয়সা দিতে হয়? পলাশ : নাহ কোন ঝামেলা নাই এখানে। আমি: এত কম লাভে দিন চলে? পলাশ: এখন সময় খারাপ মানুষের কাছে টাকা পয়সা নেই। গরীব মানুষ আমার কাছে আসে। দাম বাড়ালে মানুষ খাবে কি? মামুন পেশায় খেলোয়াড়। প্রশিক্ষণের জন্য থাকেন মোহাম্মদপুরে। হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থনীতির ঢাকায় ২০ টাকায় দিন পার করার চেষ্টায় আছেন মামুন। প্রতিদিন পলাশের হোটেলের খাবার খেতে আসেন। একটু বেলা করে খেলে দুপুরের খাবারও হয়ে যায় বিশ টাকায়। মামুনের পাশে বসে খাচ্ছেন আর এক মামুন পেশায় আটো রিক্সা (সিএনজি) চালক। থাকেন আগারগাঁও। সকালের নাস্তায় তার বরাদ্দ ৩৫ টাকা। জনগণের সরকার কিভাবে কোম্পানির মুনাফা রক্ষার কান্ডারি হতে পারে তা নিয়ে ঝাল মিটালেন। ব্যবসায়িরা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায় নানা ফাঁদে ফেলে। নানা ভাবে দাম বাড়ায় সরকার দেখে না। রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে গেলে সবার আগে মুনাফা। মুনাফাই যেন সব। মানুষ বাঁচার অক্সিজেনের দামও তাড়া হাজার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। চাহিদা সাথে জোগান কম হলে দাম বাড়ে, মূল্যস্ফীতির জন্য দাম বাড়ছে, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই, রমজান-ঈদ-পূজা, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, করোনা কি যুক্তিতে দাম বাড়েনি পণ্যের। এত এত দাম বাড়ার অর্থনীতির তত্ত্বের মাঝে পলাশের খিচুড়ির অর্থনীতির তত্ত্বটা জানা প্রয়োজন। যা ৪ বছরে খিচুড়ি দাম বাড়াতে দেয়নি। পলাশের খিচুড়ির অর্থনীতি আমাদের সাহস দেখায় বিকল্প অর্থনীতি সম্ভব। দূর্দিনে মুনাফা কমিয়ে ক্রেতাকে টিকিয়ে রাখার পলাশের ব্যবসায়ী নীতি যদি আমাদের বড় বড় কোম্পানিগুলো চর্চ্চা করে। তবে আমরা অন্য এক বাংলাদেশ পাব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাজার কোটি টাকার বিল গেট্স পড়ানোর সাথে, একজন পলাশকেও পড়ানো প্রয়োজন। যেন শিক্ষার্থীরা জানতে বিকল্প মানবিক অর্থনীতি ভাবনা অসম্ভব নয়। ক্রেতাকে জিম্মি করে মুনাফা নয়, ক্রেতাকে টিকিয়ে রেখে যে ব্যবসা পলাশ চর্চ্চা করে তাই উদাহরণ হোক আগামীর তরুন ব্যবসায়ীদের।

বাবু সমির দা’র সাথে কথা বলে যেতে পারেন। বহু সুবিধা পাবেন

আন্দিকুটের জোছনা।
আন্দিকুটের চাঁদের আলো সারা বাংলার ৬৮ হাজার গ্রামের চেয়ে কি ভিন্ন?

না এই চাঁদের আলো ভিন্ন নয়। তাহলে আন্দিকুটে কেন যাবেন?

চাঁদের আলো, গাছ পালা, রাস্তাঘাট মানুষ সবই বাংলার অন্য গ্রামগুলোর মত।

তাহলে আন্দিকুটে গিয়ে কি লাভ?
না লাভ নেই। কেনাকাটার জন্য ভাল কোন দোকানপাট নেই।
গ্রামে যদি দুপুরে যান। তবে রাস্তায় বিভিন্ন বাড়িতে কে কি রান্না করছে তার সুবাস পাবেন। সাধারণত গ্রামে যে একটা ধোয়াটে মন মাতানো গন্ধ আমি পাই, সেই গন্ধটাই পেয়েছিলাম আন্দিকুটে। আমার এক আত্মীয় আমাকে জানিয়েছিল গত রোজার ঈদের আন্দিকুটে যাবার জন্য।

তার বাড়ি আন্দিকুটের পাশের গ্রাম গাজীপুরে। আগেই বলে নেই আন্দিকুট গ্রামটির ঠিকানা পো: সিদ্ধিগঞ্জ, উপজেলা : মুরাদনগর, জেলা : কুমিল্লা। যাবার ব্যবস্থা ঢাকা সায়দাবাদ থেকে সরাসরি ঢাকা-নবীনগর তিশা বাসে পীরকাশিমপুর নেমে রিকশা, মোটর সাইকেল, অটোরিক্সা, সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় কিংবা হেটে-্ই যেতে পারেন আন্দিকুটে। তাছাড় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, সিলেট থেকে আসতে পারেন।

যদি বিনামূল্যে থাকতে চান এবং খাবার খেতে চান (খাবারের জন্য টাকা দিতে হয়)। তবে যাবার আগে অবশ্যই শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন দেব মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যাবেন। সাথে কমপক্ষে একজন গায়ক/গায়িকা বন্ধু নিয়ে যাবেন। যারা ঘুরাঘুরি মানে কেনাকাটা তাদের যাওয়ার কোন দরকার নেই। শতভাগ হতাশ হবে।

যারা নাগরিক কোলাহল থেকে একটা-দুটাদিন শুধু পাখির ডাক, গাছের পাতার শব্দ, কীটপতঙ্গের মৃদু শব্দে ঘুমাতে এবং ঘুম ভাঙ্গাতে চান। তাদের গন্তব্য আন্দিকুট কিংবা তার আশে পাশের গ্রামগুলো হতেই পারে।

আমি বলি আন্দিকুট বিখ্যাত জোছনা, বৃষ্টি, শীত, বর্ষা, শরৎ উপভোগের জন্য এবং সম্প্রিতির জন্য বিখ্যাত হতেই পারে এই গ্রাম।

তবে লোকে ভিন্ন কথা এই গ্রামে আছে এক মন্দির। সেই মন্দির ঘিরে হাজারো আয়োজন। এই মন্দিরের জন্যই নাকি দেশ বিদেশে আন্দিকুটের নাম পৌছে গেছে।

আজ থেকে ২৫০ বছর আগে আন্দিকুটে দেব মন্দির স্থাপন করা হয়।বাবু সন্দ্বীপ চন্দ্র সাহা এর ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেন। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকদের এখানে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা আছে। থাকতে এখানে কোন প্রকার অর্থ দিতে হয় না।তবে খাবারের জন্য দিনে ১০০ টাকা আর রাতে ৫০ টাকা দিতে হয়। বছরে বেশ কয়েকটা উৎসব হয় এখানে। উৎসব মানেই খাবার ফ্রি। পুরো আন্দিকুট গ্রামের অধিকাংশ মানুষের চুলা বন্ধ থাকে সেদিন গুলোতে। সবাই সেইদিনগুলোতে মন্দিরের অতিথি।


এ বছর আমি বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে ছিলাম শুধুই মানুষ দেখতে । আর সেই ঘুরাঘুরির কারণে যাই আখাউড়া, নবীনগর, কুমিল্লার কিছু এলাকায়।মাজার ঘিরে থাকা সংস্কৃতির বিভিন্ন এক রূপ পেয়েছিলাম নবীনগর-মুরাদনগর উপজেলাগুলোতে।

এখনো নবীনগর-মুরাদনগর উপজেলাগুলোর বিভিন্ন গ্রামে হিন্দু-মুসলিম ধর্মীয় উৎসবে এবং গ্রামগুলোর স্থানীয় নানা আয়োজনে জারি, সারি, পালা গান, মারফতি, কীর্তন, মলয় সংগীতের গানের আয়োজন হয়। দিনের পর দিন গ্রামগুলোতে শীতের শেষের দিকে গানের উৎসব হয়। মানুষ দেখার এই ঘুরাঘুুরির পাশাপাশি আমি এবার পরিচয় হই যাত্রা’র সাথে এই অঞ্চলে।

আমার জ্ঞানের সীমবদ্ধতায় আমি যা দেখি তাতেই মুগ্ধ। তাই এই অঞ্চলে ঘুরাঘুরির প্রতি আকর্ষণবোধ করি।এই আকর্ষণ থেকেই গেলাম আন্দিকুটে কীর্তণ শুনতে।


বিকেল বেলায় যখন মন্দিরে কীর্তণ হচ্ছে। আমার পাশে মুমিন ভাই বসা তিনি আমাকে নিয়ে এসেছেন আন্দিকুট দেখাতে। আমি কীর্তনের প্রতি কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে বাবু সমিরের কথা শুনছি। প্রায় ৫০০ বছর আগের এক বট গাছ ঘিরেই গড়ে উঠেছে এই মন্দির। মন্দিরের বয়স ২৫০। গাছটা বট না পাকুর তা নিয়ে কয়েকজন র্তক শুরু করে দিল। আমি বট পাকুরে র্তকে না গিযে। পুকুরের পাড় ঘেষা সারি সারি সাদা টাইলসের লম্বা বারান্দায় দাড়িয়ে শুনছি একটা গাছ কি করে পুরো এলাকা পরিবর্তন করে দেয় সেই গল্প।


বাবু সমির দা’র বলে যাচ্ছেন। প্রায় ৫০কোটি টাকা ব্যয় করে এখানে স্থাপন করা হয়েছে মন্দির, একটি প্রাথমিক স্কুল, আশ্রম, অতিথিদের থাকার জায়গা, ওয়াক ওয়ে, বাধাই করে পুকুর ঘাট। আমি মন্দির আশ্রমের গল্প শুনা বাদ দিয়ে পুকুর পাড় ঘেষা বড় বারান্দা ওয়ালা অতিথি ভবন থেকে পানিতে চাঁদের ছায়া দেখছি। একটু পর আমি মন্দিরের সবুজ মাঠে বসে আবারও মুমিন ভাইয়ের গল্প শুনছি। এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসার ক্যাম্প হয়, আশেপাশের চার-পাচঁ গ্রাম উৎসবের সময় খেতে আসে। হিৃন্দু মুসলিম নয় সবাই আশে এখানে বেড়াতে।


একটু রাত বাড়ার সাথে সাথে আমি মন্দির থেকে বের হয়ে পাশের বিশাল বাধাই ক রা খালের পাশের বসে আছি। আ হা কি শান্তির বাতাস। একটু পর পর মেঘ এসে চাঁদ ঢেকে দিচ্ছে। খনিকের জন্য অন্ধকার। আবার আলো। হালাক বৃষ্টির জাপটা এসে লাগছে গায়ে। একজন গায়ক বন্ধুর দরকার ছিল। আমার বড্ড ইচ্ছে হচ্ছিল একটা গান শুনার। চাঁদনী পসরে কে আমারে স্মরণ করে কে আইসা দাড়াইসে গো আমার দুয়ারে আমি গান গাইতে জানি না। তা নিয়ে কখনো আমার দু:খ হয় নি। আজ হচ্ছে। কয়েকজন বিশাল ভেসাল দিয়ে মাছ ধরছে খালে। যারা মাছ ধরছে তাদের ছোট ছোট ঘর তৈরি করেছে ভেসালের নিচে। চাঁদের আলোর কারণেই হয় ঘরগুলোতে কোন বাতি ধরায়নি তারা।

সমির দা আমাকে একটা নিয়ম জানিয়ে দিয়ে গেলন। এখানে যারা ফ্রি থাকে তাদের সকালে রান্না ঘরে কাজে সহযোগিতা করতে হয়। এখানে মন্দিরের পাশে যে স্কুলটি আছে তাতে প্রায় ৫০০ শিশু পড়াশোন করে। সেই শিশুদের জন্য দৈনিক যে খাবার হয় তাতে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে।

দূরে কোন একটা অচেনা পাখি বিকট শব্দে ডাকছে। আমার স্থানীয় গাইড জানালেন দেশে বিপদ আসছে। বিপদ এলে এই পাখি ডাকে। আমি সুখের পাখির ডাক শুনতে চাই। আগাম এই বিপদের তথ্য প্রদানকারীর প্রতি আগ্রহ না দেখিয়ে। আমি জোরে পা চালাচ্ছি পাশের গ্রামের দিকে। সেই গ্রামের না গাজীপুর। এখানে আমার রাতের খাবারের দাওয়াত।


কিছু 
জরুরী যোগাযোগ  : মো: সাইদুল কবির ইউপি সচিব, মোবাইল- 01715736756, মো: গোলাম মোন্তফা 01777452121  ইউ.পি উদ্যোক্তা   ৩ নং আন্দিকুট ইউনিয়ন পরিষদ,  মুরাদনগর,কুমিল্লা

Thursday, October 26, 2017

Two Environmental Activists, the ADB Office, and a Canal turned Drain

We had an interesting meeting today with the Asian Development Bank (ADB). We were at their office in Dhaka to discuss some problems that occurred following their “development” of canals in Brahmanbaria and other small cities. Following the “development” of the canal by cementing the sides, what was once a healthy natural place supporting fish and other life has now become a filthy polluted drain.

During the meeting, as is natural, they offered us refreshment. One of us asked for a glass of water. The ADB officials, among whom were two environmental experts, drank coffee and juice, and ate biscuits. The “glass of water” was a small plastic bottle. The coffee came in paper cups with disposable plastic lids and a plastic stirrer. The juice came in a large plastic cup with plastic lid and plastic straw. The biscuits, naturally, were served on single-use plastic plates.

While consuming the food, the officials explained that the problem with the Brahmanbaria canal is the lack of proper solid waste management. The residents of slums, being poor and uneducated, simply toss their waste out the door of their shacks. The local government, despite being trained by ADB, does not dispose of the waste properly. He also suggested that we, as individual activists, go talk to the local government to clean up the mess created by ADB in the first place. (If the local authorities can’t handle the project responsibly, then perhaps you shouldn’t have built it?

One of us launched into a critique of their own practices. How could they criticize slum residents when they know that the rich generate far more trash per person? What about the trash they were generating in their own office? In our office, she continued, we compost our waste and avoid using single-use plastics. We serve water in glasses. We have glass water bottles for seminars. We of course eat off of ceramic or metal plates. How hard is that?

An ADB official responded that, yes, we should separate our waste. He did not even seem to grasp the possibility of avoiding using single-use plastics, though another ADB official acknowledged that these were “good points”. In response to the idea of a surcharge on single-use plastics, they responded that public awareness is the solution. After all, why would an institution focused on economic growth as measured by GDP and on private sector development understand the possibility of reining in the corporations that profit from the use of environmentally-hazardous single-use plastics?
At another point in the meeting, one of us inquired what ADB does if their project has a negative environmental assessment. The answer was a bit hazy; we try to mitigate…but the official did not say that ADB stops the project if the environmental hazards are clear.

When we questioned the wisdom of making cement sides to the canal and thus destroying biodiversity, their response was that this is a city, not the countryside. In a city one cannot have canals and farmland as one would in the city. One may as well say that cities are by definition polluted places that are deathly to their residents, who must choke on the fumes of the cars, be subjected to mounds of plastic trash, and drink dirty water…because that is urbanization, you know, development.

We might have expected that ADB would have the sufficient resources to do a bit of research on ecological practices. Surely they have heard of ecosanitation? Surely they realize that there are ecological ways of dealing with rainwater? Oh, let’s see, has anyone ever heard of rainwater catchment, or systems for recharging groundwater, or parks that become, in part, temporary lakes during the rainy season? These are not difficult issues to research. No, the engineer responsible for the project must instead lecture us on the proper dimensions of a canal to maximize drainage, and one of the environmental experts innocently inquire where she might learn of more ecological practices.

One might also hope that ADB, which claims to wish to end poverty, would have an environmental vision for the future. Surely they understand that poverty also consists of an impoverished environment, where air, water, and soil are polluted and contribute to ill health and early mortality. Surely, then, they will wish to learn from their failures and implement more ecologically-sound projects in future. Instead, they use words like “compromise” and suggest, as above, that cities cannot be environmentally-friendly.

At the end of the meeting, we again asked whether they can unequivocally state that concrete is not environmentally-friendly and is not conducive to biodiversity. They could not. (Earlier in the meeting one official did accidentally remark that in several cases, the canals had been a disaster. When we pushed them to state in which cities, they only named two: Brahmanbaria and Manikganj. The official was obviously aware that he had mis-spoken…not that what he said was not accurate, but it was outside the bounds of what he had meant to say.



Activists will be dreamers…and we will not easily be silenced. We will continue to pursue this issue. We will push ADB to accept that concrete sides of canals are not good for the environment and that there are better solutions to dealing with rainwater. We will alert other municipalities to the possibility of such projects coming to their locale and will urge them not to just “cut and paste” ADB’s mistakes. Our country deserves a much better future than that.

Sunday, August 20, 2017

কেল্লা শাহ্, কেল্লা বাবার আখাউড়া

মাজার নিয়ে আপনার আমার মতামত কি। কিংবা আপনি মাজার বিশ্বাসী কিনা তা নিয়ে তর্কের জন্য এই পোস্ট নয়। এই পোস্ট শুধুই কেল্লা বাবা / কেল্লা শাহ / কেল্লা শহীদের মাজার এবং তার ভক্ত কুলের ভালবাসাকে প্রাধান্য দিয়ে।

কেল্লা শাহ্র প্রকৃত নাম হল সৈয়দ আহমদ গেছুদারাজ। ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া থানার খড়মপুরে অবস্থিত হজরত সৈয়দ আহম্মদ (রঃ) এর দরগাহ। সারাদেশ জুড়ে পরিচয় পাওয়া খড়মপুরের মুল পরিচয় এই দরগা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তার আশেপাশে এলাকায় মাজার ভক্ত প্রচুর মানুষ পাওয়া যায়। আর এই মাজার ভক্তদের আপনি ধর্ম দিয়ে বিভক্ত করতে পারবেন না। ভাবতেই পারেন দরগা কিংবা মাজার মানেই মুসলিম ধর্মনুসারীদের আনাগোনা। কিন্তু আমি বৃহত্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অসংখ্য মাজার দেখেছি যেখানে সনাতন ধর্মের প্রচুর লোক আসে। যদি কেল্লা শাহ্’র মাজার প্রতিষ্ঠার পিছনে ধর্ম আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে বিশাল লোকগল্প প্রচলিত আছে।
সেই গল্প নিয়ে তর্ক বা যুক্তি দেখালে অনেক দূর্ পর্যন্ত যেতে হবে। আর আমার জ্ঞানের সীমবদ্ধতা এবং অনাগ্রহের জন্য এই তর্ক বাদ।

তারচেয়ে বরং বলি পিছন থেকে মাজার দেখার গল্প। মাজার নিয়ে আপনার ধারণা যাই হোক। মাজার কিছু মানুষের বিশ্বাস, নেশা, পেশা, আশ্রয়, ধ্যান।

গত ১০ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট ২০১৭ ছিল কেল্লা শাহ্’র মাজারের বার্ষিক ওরস। হাজার নয় লাখো মানুষের ভিড়। তবে স্থানীয়দের ভাষায় কোটি কোটি মানুষ। ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক কেল্লা শাহ্’র ওরসে লাখো মানুষের ভীর হবেই। গ্রামের পর গ্রাম অপেক্ষায় থাকে কবে হবে ওরস। দাদা-দাদী, মা-বাবাসহ এসেছেন এক তরুন। তিন পুরুষেই কেল্লার ভক্ত। তারা প্রতি বছর আসে এবং আসবে। এই বিশ্বাস নিয়ে ফিরে যাবে।
কেল্লা শাহ্’র ওরসে রঙিন পুতুলের দোকান


সবাই যে শুধুই ভক্তির জন্য আছে তা নয়। কেউ কেউ দেখতে আসে, ব্যবসার জন্য আসেন। যেমন কিশোরগঞ্জনের পাখা ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লার সাথে বিশাল দল। সবাই পাখা বানায়। কাপড় সুতা আর বাঁশ দিয়ে পাখা। চাইলে ক্রেতাকে সামনে বসিয়ে পাখা বানিয়ে দেওয়া হয়। পাখার জমিনে নানা বঙিন কাপড়ের ঝালর।
মাজার ঘিরে হাজারো ভক্তে কত কত মানত । কেউ দেয় টাকা, কেউ গরু,ছাগল, মহিষ, মোরগ-মুরগী, চাল, টাকা-পয়সা কত কি।

একদল ভক্তকে দেখলাম গিলাপ দিচ্ছে মাজারে। আমি দাড়িয়ে সেই গিলাপ দেওয়ার রীতিনীতি দেখছি। প্রথমে কয়েকজন ভক্ত গিলাপটি উচুঁ করে মাথার উপর ধরল। তারপর যিনি মানতকারী তিনি গোলাপ জল ছিটিয়ে দিলেন। গোলাপ জল ছিটিয়ে পুরো গিলাপটি যখন ভাল ভাবে ভিজেছে তখন সন্ধ্যার একটু আগে নদীর ঘাট থেকে রাস্তা পার হয়ে মাজারে ডুকল। প্রচুর ভীরে শুনতে পাচ্ছিলাম না তা কি বলছে।তবে বুঝতে পারছি সেই লাল গিলাপ ছুয়ে কয়েকজন বিলাপ করছে। কে কি বলছে বুঝতে পারছি না ভীর ঠেলে সামনে যাওয়া দায়। শুধু দেখছি ভক্তের ভালবাসা কেল্লা বাবা-কেল্লা শাহ্’র প্রতি।

কত বড় মোমবাতি হয় তা দেখতে পাবেন কেল্লার মাজারে। বিশাল বিশাল মোমবাতি। সাপ-বেজির খেলা, কোমর ব্যাথা-মাথা ব্যাথার সাথে সাথে একশন মালিশ, যৌন রোগ-গোপন রোগের ঔষধ। তবে বেশিভাগর রোগ এবং সমস্যা এখানে তাবিজে সারে। হরেক রকম তাবিজ পাওয়া যায়।

চারিদিকে গান হচ্ছে। আমি গানের আসরে দাড়ালাম গান শুনছি। “যাব কেল্লা বাবার বাড়ি, মাঝি ভাসাও তরী”।

মাজারে আসা ভক্তের বড় অংশ নৌকায় যাতায়াত করে
কেল্লা শাহ্’র মাজারের আগতদের একটি বিশাল অংশ আসে নৌাকায় করে। শত শত নৌকা তিতাসের বুকে ভেসে ভেসে ভক্তদের নিয়ে আসে। দিন কয়েকের জন্য নৌকায়ই তাদের বসতি। হিন্দু-মুসলিম ভক্ত এক সাথে এক নৌকায়। নীবনাগর,বাঞ্ছারামপুর, কিশোরগঞ্জ, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়াসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে নৌকা আসছে কেল্লা শাহ্’র মাজারে।

এই ভক্তগুলোর ভালবাসাকে শক্তি হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া যেত। তবে অনেককিছুই সম্ভব। যেমন কেল্লার ভক্তরা তিতাস নদীকে বিশেষভাবে দেখে কারণ এই নদীতে কেল্লা শাহ্’র কল্লা/মাথা পাওয়া গিয়েছিল। ঘাটে দেখেছি রাতে প্রচুর মানুষ গোসল করে।

তিতাস নদী নিয়ে এই মানুষগুলোর শ্রদ্ধা, ভালবাসাকে নিয়ে দূষণমুক্ত তিতাস রক্ষার আন্দোলন শুরু করা যেতে পারে।এক নৌকায় হিন্দু-মুসলিমের অবস্থান। নিশ্চয়ই তাহাদের জন্য শিক্ষা হতে পারে। যারা শুধুই ধর্ম নামের মানুষে মানুষে বিভক্তি খুঁজে।





রাত বাড়ার সাথে সাথে রওনা হলাম।প্রতি ট্রেনে হাজার মানুষ। মানুষের গাদাগাদি ট্রেন চলছে।আমরা ট্রেনে উঠে পড়লাম প্রতিদিন গন্তব্য ঠিক থাকার দরকার কি? যাক ট্রেন ভোরে নামব।
ট্রেনে কেল্লা শাহ্’র গল্প হচ্ছে। কেল্লা শাহ্ কে। কি করে তার কেল্লা পাওয়া গেল জেলে চৈতন দাসের জালে। চৈতন দাসের ইসলাম গ্রহন। কেল্লা শহীদের ভক্তরা আস্তিক না নাস্তিক, শিরককারী তা নিয়ে আপনার আামর যুক্তি তর্ক থাকবেই। তবে বোমা নয়। আর্দশের লড়াই আর্দশ দিয়ে হোক। ভালবাসার লড়াই ভালবাসা দিয়ে। ঘৃণ্যার লড়াই ভালবাসা দিয়ে শেষ হোক।

তিতাসের পানিতে ওযু।


আমার মাজার দেখার সাথে অপ্রাসঙ্গিক একটা গল্প বলি, আমি বছর ৫/৬ আগে মহীসূর যাচ্ছি। নানাদেশের ভ্রমণকারীদের সাথে আমিও ছোট বাসের মাঝামাঝি বসে আছি। ভ্রমনের খরচ কমাতে আমি দুদিনই খাবারহীন প্যাকেজ নিয়েছি। পুরো দলে আমি একমাত্র মানুষ যাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। আমি আমার ব্যক্তিগত ঝোলা থেকে খাবার বের করে খাই। প্রথমদিন সিটি ট্যুরে আমার সাথে এক ভারতীয় পরিবারের সাথে খুবই ভাল সর্ম্পক হয়ে গেল। তারা আমাকে খাবার সহয়তা দেয়।

২য়দিন মহীসূর যাবার সময় পরিবারে সবচেয়ে নিশ্চুপ মানুষটি হঠাৎ বাস ছাড়ার আগে জিজ্ঞাসা করল। আচ্ছা আজকে যেখানে যাব কি দেখার আছে? কাল তো ভাল কিছুই দেখি নি। গাইড বর্ণনা দিলেন অনেককিছু মেয়ের তৃপ্তি নেই।

বিশাল মোমবাতি





Sunday, August 13, 2017

লাখো পদ্মের বিল, ঘাগুটিয়া পদ্ম বিল।

যারা ভাবছেন আগামী দুদিন ছুটি কোথায় যাবেন? ঢাকার কাছেই যেতে চান।খরচ একটু কম হবে। সময়টাও একটা বড় বিষয়। তাদের জন্য লাখো পদ্মের বিল ঘাগুটিয়া হতেই পারে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে আখাউড়া উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী গ্রাম ঘাগুটিয়া। ভারত বাংলাদেশ দুইদেশে মিলে এক বিল ঘাগুটিয়া। এই ঘাগুটিয়ার পদ্মবিলই আপনার গন্তব্য।   দুই দেশের মাঝের এই বিলে যে শুধুই আপনার মন ভরবে তা নয়। বরং দেবতাদেরও মন জয় করতেও ভক্তরা  আসে এই বিল থেকে পদ্ম নিতে। ‘দেবী দুর্গার পূজা শুরু হয় ষষ্ঠীতে বোধনের মাধ্যমে। অষ্টমী তিথিতে ১০৮টি জলপদ্ম দিয়ে দেবীর পূজা অর্চনা করা হয়। পদ্মে দেবী দুর্গা, লক্ষী-নারায়ণসহ অন্য দেবদেবীরাও তুষ্ট হন।’ পদ্ম বিলের পদ্মতে ভক্তরা কতটা দেবতাদের মন জয় করতে পারেন তার কোন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি। পদ্মবিল, পদ্ম আর ঘাগুটিয়া গ্রামের সৌন্দর্য আপনার মন জয় করবে।


ঘাগুটিয়া যাবার রাস্তা


ঢাকা থেকে ট্রেনে আখাউড়া ভাড়া ৭০ টাকা থেকে শুরু। তবে আমি গিয়েছিলাম নিশিতা ট্রেনে। তারপর সিএনজি ( প্রাকৃতিক গ্যাসে চালিত অটো রিক্সা) চালিত রিক্সা ভাড়া করুন। ঘাগুটিয়া বিজিবি (বিডিআর ক্যাম্প) ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। উপভোগ করতে বিলের আশে পাশে হাটার বিকল্প নেই। নৌকা ভাড়া ঘন্টায় ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া ৫০০০ টাকা পরবে। তিতাস কমিউনিটার কিংবা রাতের শেষ ট্রেন নিশিতা বা চট্টগ্রাম মেইলে চড়ে আখাউড়া। ভোরে সিএনজি অটো রিক্সায় ঘাগুটিয়া ঘুরে বিকেলের ট্রেনে ঢাকায় ফিরতে পারেন।

আখাউড়া থেকে ঘাগুটিয়া যদি কর্নেলবাজার তুলাশিমূল গ্রাম হয়ে যান। তবে রাস্তায় পরবে মিনারকুটে। এখানে একটি ছোট্ট পদ্ম বিল রয়েছে। অনেকে এখানেই নেমে যায়। না অস্থির হবেন না । ঘাগুটিয়া বিল তারচেয়ে অনেক বড়। পদ্মের ভিড় সেখানে আরো বেশি আর মাত্র দুই কিমি ছোট ছোট টিলার রাস্তা পারি দিন। তবে আমি শুনেছিলাম মিনারকুটের পদ্ম মিষ্টি। স্বাদ  ঘাগুটিয়ার পদ্ম  থেকে অনেক বেশি ভাল। তাই আসার পথে আবারও মিনাকুটের বিলে নেমেছিলাম।
কার্তিক মাস পর্যন্ত এখানেও ফুল ফুটে থাকে। তবে বিলের আসল সৌন্দর্য দেখতে চাইলে শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে আসাই ভালো। অথাৎ এখনই সবচেয়ে ভাল সময়। তবে যেদিন বৃষ্টি বেশি হবে তার দুই একদিন না যাওয়া ভাল। কারণ বিলে বেশি পানি হলে পদ্ম তলিয়ে যায়। মাঝে মাঝে উজান থেকে আসা পানিতে পদ্ম তলিয়ে যায়।

যদি প্রবল বর্ষনে পদ্ম তলিয়ে যায় তাতেও আপনার কিছু যায় আসে না। হাজার নয় লাখো পদ্ম পাতা বিলের মাঝে সারিবদ্ধভাবে সবুজ গালিচা তৈরি করে রেখেছে আপনার মন রাঙাতে। পদ্ম পাতায় জলের বিন্দু, পদ্ম পাতায় ভর করে ডাহুকে হাটা চলা, পদ্ম পাতার উপর দাড়িয়ে বকের শিকার ধরার প্রচেষ্টা আপনার ভ্রমনের ক্লান্তি দূর করবে।
পদ্ম ফুল ফোটার পর তার ডগায় সবুজ গোলাকার যা দেখা যায় তাবে আমি ভেবেছিলাম পদ্মের বিচি জাতীয় কিছু হবে। কিন্তু আমার পথপ্রদর্শক তুলি জানাল এটার নাম ঠনা। ঠনা খেতে খুবই সুস্বাদু। আমি দুটা খেয়ে তার স্বাদ সর্ম্পকে নিশ্চিত হই। তারপর ঝিরিঝির বৃষ্টির মাঝে নৌাকায় বসে।

আমার বেসুর কণ্ঠে
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
      একটি ধানের শিষের উপরে
             একটি শিশিরবিন্দু।

আমার বেসুর কণ্ঠে কবিতা শুনে তুলি ব্যাপক শব্দ করে হাসছে।

হাসাহাসি যাই হোক।
কবিতার মত আমার বেলায় তাই হয়েছিল। বছর কয়েক আগে আমি ত্রিপুরায় গিয়েছিলাম একটা পদ্মর বিল দেখতে। হাজার হাজার পদ্ম ফুটে আছে তার মাঝে আমি ছোট ডিঙ্গি নিয়ে কয়েক কিলোমিটার পারি দিয়ে। ভারতের ত্রিপুরার মেলাঘরের রুদ্র সাগরে যে প্রাসাদে উঠি তার নাম নীলমহল। হাজার হাজার পদ্মের মাঝে একটা প্রাসাদ।
আমি ফিরে এসে সেই রুদ্র সাগর আর পদ্মের গল্প করেছিলাম পরিচিত সকল মানুষের কাছে। কিন্তু আজ আমি যে প্রাসাদে বসে পদ্ম ফুল দেখলাম তা মাটির ঘর, উপরে টিনের চাল। জানালা দিয়ে বাতাসে ভর করে ভেসে আসা বৃষ্টির কনা আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। বারবার মনে হচ্ছিল বৃষ্টির ফোটা একটু বেশি বড় হলে  ঘরের চাল ভেদ করে আমার শরীরে লাগবে। সকাল থেকে রাতবদ্ধি ঘাগুটিয়ার পদ্মবিলের এই প্রাসাদের রানীর সাথে গল্প করছি। কত গল্প পদ্মফুলে ঠনা কি করে খায়, পদ্ম বিলের ইদুর কেন এত বেশি, বকের ফাঁদ, ডাহুকের রক্ত সিন্দুর দিলে কি উপকার, পদ্মফুলের মধুর উপকারিতা, জংলার শেয়াল কেন তার বাড়িতেই ঘুরঘুর করে।

 বৃট্রিশ ভারত-পাকিস্থান-বাংলাদেশ  সব শাসকের স্বাদই তিনি পেয়েছেন। শাসকদের স্বাদের বাইরেও তার বুকে জমা আছে কত গল্প দেশভাগ, মুক্তিযুদ্ধ। সব শাসকরা শুধুই নেয়। কেউ কিছু দেয়নি। তার পরিবারের এবং এই মহল্লার অনেকেই সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে বহু বছর  হল। কেউ দিবে দিচ্ছে। কিন্তু বৃদ্ধা আশা নিয়ে এখনো এপারেই পরে আছেন। মৃত্যু আশা। এই ভূমিতেই মরতে চান।

পদ্মফুলের মধু খাবার শখ আমার। আমি তাকে কথা দিয়ে আসলাম এই শরতের আবার তার গল্প শুনতে যাব।

পদ্মময় ঘাগুটিয়া বিল  যে শুধুই আপনার বিনোদনের জন্য তার নয়। এই বিলের উপর নির্ভরশীল বিশাল এক জীববৈচিত্র। আপনার ও আপনার আগামী প্রজন্মকে পদ্মময় করতে এই জীববৈচিত্রকে আপনার আমার টিকিয়ে রাখতে হবে পদ্ম বিলকে। তাই পদ্ম বিলে এবং তার আশেপাশে এমন কিছু করবেন না যাতে জীববৈচিত্রের সমস্যা হয়। প্লাস্টিকের কিছু ব্যবহার করলে তা গ্রামে বা বিলে না ফেলে রেখে সাথে করে আবার নিয়ে আসুন। গ্রামের মানুষের বাড়ি ঘর কিংবা কোন ব্যক্তির ছবি তুলতে চাইলে অবশ্যই অনুমতি নিন।  পদ্ম বিলে ইদুর মারা, বক, ডাউককে  ধরার জন্য ডিল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

গ্রামের মানুষদের বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকুন। উচ্চ শব্দে গান-বাজনা থেকে বিরত থাকুন। পদ্ম বিলের পদ্ম ফুল, চাঁদ মালা, ছেড়া থেকে বিরত থাকুন। যদিও কেউ কেউ ১০১টি করে পদ্ম ছিড়ে আনে তার প্রেয়সীর মন জয় করার জন্য।তা থেকে বিরত থাকুন। আমি বলি কি ছবি তুলে আনুন, প্রেয়সীকে পদ্ম বিলে নিয়ে যান। কিংবা ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে যাবেন এই স্বপ্নটা হৃদয়ে পোষে রাখনু। প্রেয়সীর সাথে পদ্ম বিল উপভোগ করার স্বার্থে পদ্ম ছোড়া বন্ধ করুন।

আখাউড়ায় যাবেন আর নাইন স্টারের খিচুড়ি খাবেন না তা কি করে হয়। আখাউড়া শহরে মাত্র ৩০ টাকায় পাবেন দুনিয়ার বিখ্যাত গরুর মাংসের খিচুরি।

আখাউড়ায় আপনি ঘুরার মত অনেক কিছুই পাবেন। ১৪আগস্ট ২০১৭ তারিখ কেল্লা শাহ বা খড়মপুরের ওরসের শেষদিন চাইলে একটা ঘুরতি দিয়ে আসতে পারেন। দেখতে পাবেন কেল্লা শাহ’র ভক্তের তার প্রতি ভালবাস, বিশ্বাস। উরসে সাপ খেলা, বেজি খেলা, গান, নানা পদের গ্রামীন খাবারের সাথে পরিচয় হতে পারবেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জেনেছিলাম।  কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের সোর্সরাও রাস্তায় যাবার পথে নিজেদের পুলিশ দাবী করে মাঝে মাঝে ঐ রাস্তায় ভ্রমণকারীদের বিরক্ত করে। তারা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করবে। কার অনুমতি নিয়ে এসেছেন? চেয়ারম্যান, বিজিবি অনুমতি আছে কিনা? আপনি তাদের উত্তর দিন সরাসারি যে আপনারা ঘুরতে এসেছেন। দলবেধে গেলে তেমন কোন সমস্যা নেই। শুধুমাত্র একা বা একজন ছেলে এক বেশি ঝামেলা করলে বিডি পুলিশ হেল্পলাইনের সহযোগিতা নিন। তবে অবশ্যই আপনার পরিচয় দেবার সময় সেই কর্মকর্তার নাম পদবী জেনে নিবেন। আখাউড়া থানার নাম্বারটি সাথে রাখুন +৮৮০ ১৭১৩-৩৭৩৭৩১

তবে স্থানীয় জনগণ ও বিজিবি খুবই আন্তরিক। বিজিবির ক্যাম্পের পাশে যে ঘন ছায়ায় ঘেরা পায়ে হাটার পথ পাবেন তাতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারবেন।

পদ্মময় হোক আপনার দুচোখ এবং আগামী দুদিনের ছুটি।

Sunday, August 6, 2017

মাত্র ৩৫ টাকায় পেট ভর্তি খাওয়া। কত কি যে সম্ভব আপনার এই ঢাকায়।




মাত্র ৩৫ টাকায় পেট ভর্তি খাওয়া। কত কি যে সম্ভব আপনার এই ঢাকায়।

৩৫টাকায় পেট ভর্তি খাবার মানে বিশ্বাস করতেই পারেন আপনি বর্তমানে শায়েস্তা খানের রাজ্যের নাগরিক। বিশ্বাস করুন আর নাইবা করুন। ঢাকায় ৩৫টাকায় পেট চুক্তি খেতে পারবেন। নিন্দুকরা হয়তবা আপনাকে বলবে ড্রেনের পাশে চট দিয়ে ঘেরা ইটালিয়ান হোটেল হবে এই ৩৫টাকার খাবারের অফার।

নিন্দুকের কথা বাদ দিন। আস্থা রাখুন। আর শুনুন । সেই হোটেলের বর্ণনা। নামেই শুধু রাজকীয় হোটেল। তা নয়। 

বলতে পারেন আমরা যারা সস্তায় থাকা খাওয়ার হোটেল খুঁজি। তাদের জন্য ইহা সত্যি রাজকীয় হোটেল। রাজকীয় সেই হোটেলে মাথার উপর ভন ভন করে পাখা ঘুরে। চেয়ারে বসে পাগুলো তুলে দিন। 

মামা ওহ মামা।

ডাক দেবার সাথে সাথে এসে যাবে আপনার ভাগিনা। কি চান বলে ফেলুন।
ভাত-সবজি-ডাল = ৩৫ টাকা।

তাছাড়া আছে ৪৫ টাকা ও ৫৫ টাকার প্যাকেজ। ৪৫ টাকায় পাবেন মাছ। ৫৫টাকায় মুরগীর মাংস। 
পৃথিবী আপনার আপনি যা চাইবেন তাই পাবেন। আমি সস্তায় খাবার আর থাকার জায়গা খুঁজি তাই সস্তায় খাবার এবং থাকার জায়গা আমার চোখে পড়ে।

এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি কতশত সস্তায় খাবারের সন্ধান দিলাম। দু:খ কেউ দাওয়াত দিল না। 

তারপরও আমি তথ্য দিয়ে যাই। এই রয়েল হোটেলের অবস্থান দক্ষিণ যাত্রাবাড়ি। ফ্লাই্ওভারের দক্ষিণ পাশে। মানে আপনি যদি যাত্রাবাড়ি থেকে আসেন তবে ফ্লাইওভারে বাম পাশে উঠার মুর্হুতেই সন্ধান পাবেন।


আপনাদের ভ্রমণ এবং খাবার আনন্দময় হোক।

Sunday, May 14, 2017

গন্তব্য চুনারচর।

যাহাদের কাজ নেই, সময় হত্যা করার জন্য এই শহরে কিছু-ই করতে পারছেন না, হাতে টাকা কম, ঘুরাঘুরি শখ । তাদের জন্য এই পোস্ট ও ছবি।
নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, ফুচকা, চিকেন ফ্রাই, তেমন জোশ কিছুই নেই চুনারচরে। চুনারচর মানে চুনারচর। চুনারচর মানে আপনি বাংলার গ্রাম বলতে যে স্বপ্ন বুনেন মনে মনে তাই। অগ্রিম টাকা আর ইনবক্সে দামাদামী করে আমাকে নিতে পারে গাইড হিসেবে।
কিংবা নিজে নিজেই চলে যান। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে মাত্র ১২০/১৫০টাকায় আসা যাওয়া, খাওয়াসহ শেষ করতে পারেন আপনার চুনারচর ভ্রমণ। আর দল বেধে গেলে তো কথাই নেই।
1.দুই শাকিল মানে সৌভাগ্য। তবে চুনারচরে আপনার ভাগ্য আর ভাগ্য। শত শত জোড়া শাকিলের দেখা মিলবে। তবে আমি চুনারচরে দুই শালিক দেখে এখনো মাশুল দিচ্ছি চুনারচর ভ্রমনের। দোস্ত আমার মহা ক্ষ্যাপা। আশা করি আপনাদের এমন হবে না।
2.পড়ন্ত বিকেল সন্ধ্যার শুরু। আপনার ক্যামেরায় জোছনার রূপালী আলো এমন নীল হয়ে ধরা পড়বে চুনারচরে।
3.চুনারচর থেকে ফেরার পথে ভাকুর্তাতে পাবেন বেশ কয়েকটি স্থানীয় মিষ্টির দোকান। স্বাদ না নিলে আপনি মহা ভুলই করবেন।
4.এই ভদ্রলোকদের সাথে যদি গলা ভিজাতে চান গরুর দুধের চায়ে তবে তা খুবই সহজ। কারণ গরুর দুধ ছাড়া এখানে রং চা বা কৃত্রিম দুধের কোন চা হয় না।
5.এই ভদ্রলোকদের সাথে যদি গলা ভিজাতে চান গরুর দুধের চায়ে তবে তা খুবই সহজ। কারণ গরুর দুধ ছাড়া এখানে রং চা বা কৃত্রিম দুধের কোন চা হয় না।
6.এগুলো বন্যপ্রাণী আবাসস্থল। সারি সারি বক আর ডাহুক দেখা মেলা খুবই স্বাভাবিক।
7.মেঘ, বৃষ্টি, রোদ্র, বর্ষা, প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম নয় বন্ধুত্ব করে চলার নামই জীবন। এই নারী প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্ব করে টিকে আছেন।
8.তাহাদের সাদা কালো শৈশবটা আমাদের চেয়ে হাজার গুণ জীবন্ত প্রাণবন্ত।
9.এই সবুজ একদিন নদী ছিল।
10.চুনারচর তাহাদের গ্রাম।
11.চুনারচরে স্বাগতম
12.এই সবুজ ঘেরা রাস্তাই চুনারচর।
13.রাত খুবই মন্দ না। চোখের একটু বেশি ক্ষমতা আপানে জোছনার আলোয় দেখাবে লাউ ফুলের এইরূপ
14.এই রকম শত শত চায়ের কেটলি আপনার জন্য তৈরি। কবে যাচ্ছেন চুনারচর?
15.আপনার যদি থাকে এই রকম এক সুন্দরী বন্ধু তবে কে ঠেকায় আপনাকে। এক লিটার তেল আর এক বোতল পানিই দিতে পারে চুনারচর ভ্রমণের সুখ।