Monday, March 21, 2016

ঢাকার রিকশার বন্ধের পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।


ঢাকা শহর থেকে রিকশা বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ,যানজট, অমানবিক নানা অযুহাতে। কিন্তু কোন পদক্ষেপই সফল হয়নি। রিকশা বন্ধের এই কার্যক্রম বিশ্বব্যাংক শুরু করলেও। এখন বিশ্বব্যাংক সরে এসেছে। তবে এখন প্রচেষ্টা চলছে নানাভাবে। দিন কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকা অনেক বড় বড় করে সংবাদ প্রকাশ করল। শাহাজাদপুর এলাকায় রিকশার নিধারিত লেন দিয়ে চলছে না।
আমিও গেলাম দেখতে ঘটনা কি?
১. ড্রেনেরও উপর স্লাবের উপর রিকশার লেন তৈর হয়েছে। তাও আবার ফাঁক-ফাঁক। এই ফাঁক দিয়ে আস্ত হাতি পরে যাবে। রিকশা চলে কি করে?
২. লেনে বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বিদ্যুতের পিলার।
৩.লেন জুড়ে ব্যক্তিগত গাড়ি পাকিং, দোকান, ট্রাক-ভ্যান থামিয়ে মাল তোলা নামানো হয়।
৪.লেনের অনেক জায়গা দেখলে মনে হবে ছোট কোন খাল। ঢাকার অনেক খালেও এত পানি থাকে না।

ঢাকার কোটি মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম রিকশা। এটি পরিবেশবান্ধব, লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এই রিকশার মাধ্যমে। আমাদের যাদের গাড়ি নেই, বাসের চড়ার ব্যবস্থা নেই। তাদের জন্য রিকশা যে কত বড় আশিবাদ। তা শুধু রিকশা আরোহীরাই জানে। কিন্তু শহরে একটি বিরাট অংশ রিকশা যাতায়াত করলেও। তাদের কথা কর্তৃপক্ষ ভাবেনি এই লেন তৈরি করার সময়। তার প্রমাণ এই ছবিগুলো।
ঢাকার রাস্তায় পরিবেশ দূষণ, যানজটের অন্যতম কারণ প্রাইভেটকার। তবুও সব সুবিধা তারই জন্য। কারণ প্রাইভেট কারে যারা চলে তারা নিয়ম তৈরি করে। তাই তারা সড়কে শুধুই তাদের সুবিধা নেয়।
এই স্ল্যাবের উপর দিয়ে কি করে রিকশা চলবে জনাব?
এই অথৈ পানির মাঝে দিয়ে কি রিকশা চলবে?
যদি বলেন চলে। তবে কাল থেকে আপনাদের ব্যক্তিগত গাড়িগুলো চালান
দুইদিন। যদি বলে না। তবে রিকশা লেনগুলো সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনুন


Monday, March 14, 2016

বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকটির অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে অভিযোগ দিয়ে ব্যাপক ঝারি খাচ্ছি।



আমি বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকটির অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারপর আমি কয়েকদিন ফোনে যোগাযোগ করি। কোন সাড়া না পেয়ে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে যাই। শুনলাম যে গর্ভনর চিঠিটি পাবার পর পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপর যাই সেই চিঠির সূত্র ধরে তদন্তকারী দায়িত্বশীল বিভাগে যেখানে গর্ভনর চিঠি পাঠিয়েছেন। তারা তো মহা ক্ষ্যাপা আমার উপর। আমার কি লাভ? ব্যাংক টাকা নিলে আমার সমস্যা কি? তারপর অনেক পর বুঝলাম। যে তাদের নাকি কোন এখতিয়ার নেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবার।

তদন্তের জন্য যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি আমাকে বলে গর্ভনর কেন আমার কাছে মেইল দিয়েছে? কি জানেন। আমি গর্ভনরের জ্ঞানের পরিধি নিয়ে কিছু না বলে বললাম কি করা যায় তাই একটু বলেন। বলল আপনি গিয়ে তদন্ত করেন গ্রাহক হিসেবে তাদের কত টাকা লেনদেন হয়। কোন ব্যাংকে হয়। কতজন গ্রাহক। যে ব্যাংকে টাকা জমা হয় তার বিস্তারিত তথ্য। আমি তাকিয়ে আছি সেই কর্মকর্তার দিকে। বার বার মনে হচ্ছিল তিনি ভিন্ন কোন গ্রহ থেকে আসা লোক। আমি চাইলেই সকল তথ্য একটি ব্যাংক দিয়ে দিবে !!!!

এসে স্থানীয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে চিঠি দিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে জানলাম যে তারাও স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছে। এবার স্থানীয় প্রশাসনকে ফোন দিন দেখেন তারা কি করে। আমি ফোন দিয়ে শুনলাম পুলিশ মহাক্ষ্যাপা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ তারা কেন করবে। আর আমি কেন অভিযোগ দিলাম তাতে তিনি মহাক্ষ্যাপা। আমি অভিযোগকরী হই কি করে। আমাকে তো ঝারি আর ঝারি। এত ঝারি শুনার পর আমি সিটিজেন রিয়েল এস্টেট ব্যাংককের কার্যক্রম নিয়ে আবারও চিঠি লেখার প্রস্তুতি নিয়েছি।

যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক কেউ জানেন না কার কাছে অভিযোগ জানানো যায়। আর কে এই অবৈধ কার্যক্রম রুখার দায়িত্বে আছেন। তাই আমজনতার সাহায্য চাই। আমাকে বলুন আমি আপনাদের সহযোগিতায় চেষ্টা চালাতে চাই।

শেষ কথা হারা যাবে না। স্থানীয় মানুষগুলোর আমানত রক্ষায় এই ব্যাংকের কার্যক্রম অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তাই আপনাদের পরামর্শ চাই।

মৃত্যুর পর এই ছায়া ঘেরা পথ ধরে যদি ফিরতে হয়। তবে মন্দ কি?


নদী পাড়ি দিয়ে যখন রাতের আধারে আমি আস্তানার সন্ধান পাই। সরু পাহাড়ি পথ আর চারচালা ঘর দেখে ক্লান্তি অনেকটাই দূর হয়ে গেল। সকালে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে জানালা সরিয়ে দেখছি সারি সারি রক্ত জবা আর দেশি-বিদেশি ফুলের সারি।
একদিন পাড়ি দিয়ে আমি বুঝে যাই। দিনের আলোর এই মায়াপুরী থেকে বের হওয়া যাবে না। সন্ধ্যার পর আমি বের হয়ে পড়ি বাড়ি ফিরব বলে। বার বার মনে হচ্ছিল একজন খেলোয়াড় যেমন তার তুঙ্গে থাকা সময় সিন্ধান্ত নেয় খেলা থেকে অবসর গ্রহনের। ঠিক তেমনি, আমিও বলি আনন্দময় এই মূহুর্তগুলোতে খবুই মন্দ হত না, যদি জীবন থামিয়ে দেওয়া যেত। এমন মূহুর্তগুলো পার করার পর অবশ্যই সেচ্ছায় মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন খুব কঠিন নয়। মৃত্যুর পর এই ছায়া ঘেরা পথ ধরে যদি ফিরতে হয়। তবে মন্দ কি?







Thursday, March 10, 2016

দুধই যাদের গলার ফাঁস!


দুধই যাদের গলার ফাঁস!


সৈয়দ সাইফুল আলম, বাংলামেইল২৪ডটকম

ঢাকা : রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে মাত্র মিনিট ১৫ সময় লাগে অটোরিকশায় যেতে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড আর রায়ের বাজার থেকে আটিবাজারে কয়েক মিনিট পর পর অটোরিকশা যায়। এ বাজারে গরুর দুধ নিয়ে আসেন রফিকুল, ননীগোপাল, নেপালী, হাজি সাহেবসহ অনেক গোয়াল। 
হাজি সাহেবের পাঁচ গাভী আর একটি ষাঁড়। খাঁটি দুধের নিশ্চয়তা, সঠিক ওজন আর সততার জন্য হাজি সাহেবের সুনাম গ্রামজুড়ে। তার বাড়িতে গরুর দুধ নিমিষেই বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু রবি আর সোমবার দুধই তার গলার ফাঁস। কারণ এ দু’দিন পাইকার আসে না। তাই দুধ বিক্রি তেমন হয় না। দুধের দাম ওই দিনগুলোতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় ওঠানামা করে। 
গেল সোমবার আমরা হাজির হলাম আটিবাজার মসজিদ মার্কেট দুধবাজারে। তেমন কোনো ক্রেতা নেই। মণ মণ দুধ আসছে আটি, ওয়াশপুর, আটি ভাওয়াল, তারিপাড়া, বাবুনসুর, শিকারিটোলা, আটি বাড়ালিয়া, গাটারচর, জয়নগর থেকে। ক্রেতা শুধু আমরা তিনজন। ‘কত মণ দুধ কিনবেন? ৩০, ৩৫, ৪০ যা চান তাই দেন। আমাদের উদ্ধার করেন।’ 
আমাদের স্থানীয় প্রদর্শক আগেই খামার ঠিক করে রেখেছেন দুধ আনার জন্য। খামার মালিকের বাড়িতে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার করা আয়োজন হয়েছে। এ দামে দুধ কিনে তার বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া নেহাত অন্যায়। কিন্তু কিছুতেই না খাইয়ে ছাড়বে না। প্রয়োজনে দুধ বিক্রির দরকার নেই। 
আমরা একের পর এক গ্রাম পার হচ্ছি। শুধুই গরু আর গরু। বলা যায়, গ্রামগুলো এখনও গরুর গ্রাম! ঢাকা থেকে শুধু নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন এই গ্রামগুলোর চিত্র। এখনও আপনি চোখ বন্ধ করে যে গ্রামের ছবি দেখেন ঠিক তেমনি।
গ্রামের মানুষগুলো এখনও গরুগুলোকে তাদের পরিবারের অংশই মনে করে। প্রতিটি গরুর আলাদা আলাদা নাম আছে। গরুর জ্বরে মালিকও আক্রান্ত হন। সারারাত জেগে গরুর সেবা করেন তারা। এই গ্রামগুলোতে একটি গরুর বাচ্চার জন্ম যেমন আনন্দের সংবাদ হয়ে আসে তেমনি একটি গরুর মৃত্যুও হাহাকার আনে। 
আশপাশে কিছু ঘোষ বাড়ি আছে। তারা দুধ থেকে মিষ্টি, ঘি, মাখনসহ নানা প্রকার দুগ্ধজাত খাবার তৈরি করেন। কিন্তু তা উৎপাদিত দুধের তুলনায় অনেক কম। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অফুরন্ত দুধই গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়ায় ঝড়, বৃষ্টি, হরতালসহ বিভিন্ন বন্ধের দিন। 
দুপুরের পর পর আমাদের ফেরার পালা। আসার পথে আমিনুল এসে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। ‘ভাই কোক-পেপসি না খাইয়া এক সের দুধ খাইয়েন, স্বাস্থ্য ভাল থাকব, দামেও সস্তা। আমাগো মতো হাজার হাজার গোয়াল আর গরু বাঁচবো, যদি মাইনষে নিয়মিত দুধ খায়।’ 
আমরা একটা বিশাল অপরাধবোধ নিয়ে অটোরিকশায় করে ঢাকায় ফিরছি জনপ্রতি ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা। কারও মুখে কথা নেই। আমরাও এ মানুষদের বিপদের সুযোগ পেয়ে সস্তায় ১ মণ দুধ কিনে বাড়ি ফিরছি। কিন্তু আমি ভালো করে জানি, আগামীকাল আমাকে প্রতি কেজি দুধ ৯০ টাকা করে কিনতে হবে শহরের দোকান থেকে। 
ধানমন্ডি থেকে মাত্র ৫-১০ কিলোমিটার দূরে গ্রাম আর শহরের মধ্যে কী করে প্রতি কেজি পণ্যের দাম তিন গুণ বাড়ে, এ এক বিস্ময়!  মাঝের মুনাফাকারীদের শৃঙ্খলটা ভেঙে যদি অন্য কোনো একটা সুযোগ তৈরি করা যায়, তাহলে কিন্তু হাজার হাজার কৃষক বেঁচে যান। সবুজ গ্রামগুলো সবুজই থাকবে। এই শহরের শিশু-বৃদ্ধরাও কৌটার দুধের স্বাদ নয় কিংবা খাঁটির নামে শুধু বিজ্ঞাপননির্ভর নানা রাসায়নিক উপাদানের দুধ থেকে মুক্তি পাবে। 
উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজার, চাহিদা, গবেষণা কতই না ছোটাছুটি হলো! কিন্তু ঢাকার কাছের এই গ্রামের কৃষকদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়া প্রমাণ করে, আমাদের তৃণমূলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে কতটা অসহায়।

Tuesday, March 8, 2016

সব দোষ কৃষ্ণচূড়া আর সাজ্জা খালিদ মাহমুদ মিঠুর।

নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গুণী চিত্রশিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠুর হত্যাকারী কৃষ্ণচূড়া গাছটির ছবি আজ অনেক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে/হবে। ঘাতক সেই গাছ ঘিরে অনেকের ক্ষোভ। এই শহরের রাস্তার ধারে আর কোন গাছ থাকবে কিনা তা নিয়েও অনেক মন্তব্য চলছে/চলবে। কিন্তু এই কৃষ্ণচূড়া গাছটিকে যারা ঘাতক বানিয়ে দিল তাদের কোনদিন বিচার হবে না?

সব দোষ কৃষ্ণচূড়া আর সাজ্জা খালিদ মাহমুদ মিঠুর।

কিন্তু দিন কয়েক আগেই এই গাছটির রূপে মুগ্ধ হয়ে হাজার মানুষ প্রশান্তি নিঃশ্বাস নিয়েছে। গেল বসন্তে হাজার কপোত-কপোতীর মন রাঙিয়েছে এই কৃষ্ণচূড়ার রূপে। কত সৌখিন ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে এর রূপ তার হিসেবে নেই।

আজ এই গাছটি শুধুই ঘাতক কৃষ্ণচূড়া, শত শত মানুষের মন রাঙানো, জীবনের জন্য অক্সিজেনের জোগানদাতা আজ সকলের কাছে ঘাতক!!!

এই গাছটি কি বয়সের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে? ঢাকার রাস্তার ধারের প্রতিটি গাছকে মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ক্রংকিটের চাপা দেওয়া আছে গাছগুলোর চারপাশে। উন্নয়ন করতে গেলেই বার বার গাছগুলোর শিকড় কেটে দেওয়া হয় কিংবা পুরো গাছ কেটে ফেলা হয়।

ঢাকায় এমন শত শত গাছ আছে যা ভেঙ্গে পড়ার অপেক্ষায় আছে। এই গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হবে নিশ্চয় কয়েকদিনের মধ্যেই। কিন্তু এটি আর একটি ভুল পদক্ষেপ হবে। যে গাছগুলো ঢাকার কোটি মানুষের বাঁচার অন্যতম মাধ্যম অক্সিজেনের জোগান দাতা তাদের রক্ষার জন্য কোথাও কোন পরিকল্পনা নেই। বৃক্ষরোপনের নামে প্রতি বছর যে গাছ লাগানো হয় ঢাকায়, তার কতটা এই শহরের জন্য উপযোগী তা বিবেচনা করা হয় না। নেই কোন নীতিমালা। সিটি করপোরেশনের আরবরি কালচার নামের একটা বিভাগ ছিল। এখন আর আছে বলে মনে হয় না।

এই শহরে কত কারণে যে গাছ কাটা হয় তার কোন পরিসংখ্যান নেই। ভিআইপি চলাচল, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, বিশ্বকাপ, সৌন্দর্যবর্ধন, সংস্কার শত অযুহাতে গাছ কাটা হয়। সেখানে গাছের চাপায় পড়ে একজন গুণী মানুষের মৃত্যুর পর হয়তবা আরো শত শত গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আসবেই। কিন্তু কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী গাছগুলো রক্ষার জন্য এ শহরের কোন সিদ্ধান্ত আসে না।

এই শহরে গাছ লাগানো হয় শুধু্ই সৌন্দর্যবর্ধন আর ঠিকাদারের ব্যবসায়ী উদ্দ্যেশ সাধনের জন্য।ঢাকা শহরের রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া আছে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানকে। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছে। প্রতি বছর গাছ লাগানো হয় এবং কয়েক মাস পরই ঐ স্থান শূণ্য। কারণ গাছগুলো লাগানোর সময় ভাবা হয় না এটি উপযোগী কিনা। সড়কের মাঝে অসংখ্য গাছ লাগানো হচ্ছে যা একটু বড় হলেই ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য । কারণ গাছগুলোর সাথে মাটির তেমন কোন যোগাযোগ নেই। আর এই গাছ পড়া দায় যদি গাছের উপরই পরে তবে বলতেই হয় আমরা নিজেদের দোষ অন্যের উপর চাপিয়ে ভাল থাকতে চাওয়া প্রচেষ্টায় আছি।

কিন্তু কতদিন আর ঘাতক কৃষ্ণচূড়ার উপর দায় চাপিয়ে নিরাপদে থাকব। তারচেয়ে বরং এবার সাজ্জা দেওয়া হোক সিটি করপোরেশনসহ ঐ সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যারা উন্নয়নের নামে গাছগুলোকে মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যারা তাদের পরিকল্পনা এক ইঞ্চি জায়গা রাখে না গাছের জন্য।

খালিদ মাহমুদ মিঠুর হত্যাকারী কৃষ্ণচূড়া হয়তবা আমাদের এই জানান দিচ্ছে। এশহর শুধুই মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা গাছগুলোও এই শহরে নিরাপদ নই। খালিদ মাহমুদ মিঠুর মৃত্যুর পথ ধরে আমাদের সমাধানের পথে হাঁটতে। গাছ লাগানোর একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে। গাছ রক্ষায় আইন তৈরি করতে হবে। ক্রংকিটে চারপাশ চাপা দিয়ে গাছগুলোকে ঘাতক বানানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।

খালিদ মাহমুদ মিঠুর আর কৃষ্ণচূড়া মৃত্যুর পরও যেন আমরা শিক্ষা নেই। বড্ড ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকার কথিত উন্নয়ন। ঘাতক কৃষ্ণচূড়াকে শাস্তি নয়, শাস্তির আওতায় আসুক তারা যারা প্রাণরক্ষাকারী গাছগুলোকে ঘাতকের ভূমিকায় অবর্তীন করছে।

ছবি: বাংলা ট্রিবিউন