Thursday, March 13, 2014

বিটি বেগুন বিজ্ঞানীদের বিশ্বাসঘাতকতা

বিটি বেগুন নিয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক তর্ক আছে। এই তর্ক বৈজ্ঞানিক তর্ক নয়। যাদের সাথে তর্ক তারা তো বিজ্ঞান অনুসরন করেনি। করেছে একটি বিশেষজ্ঞান সেই জ্ঞান নিয়ে এই লেখা। বিস্তারিত পেতে ইনবক্স বাধ্যতামূলক..........................

বিটি বেগুন নিয়ে অনেক তর্ক আছে। বেগুনের সাথে বিশেষ জ্ঞানের সমন্বয়ের নামে বাংলাদেশে যা করা হয়েছে তাকে কোনভাবেই বিজ্ঞান বলা যায় না। যদিও বলা হয় বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যে জাত তৈরি করেছেন কিন্তু তাতে আমাদের গর্বের কিছু নেই। বরং আছে জাতি হিসেবে ব্যক্তির স্বার্থে রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার অতীতের ইতিহাস পুনরাবৃত্তি মাত্র। বারি যাই বলুক না কেন এটা তাদের গবেষণার ফসল। কিন্তু ইতিহাস ভিন্ন । একটি অসচ্ছ প্রক্রিয়া আর অসংখ্য গোজামিল দিয়ে আর যাই হোক বিজ্ঞান হতে পারে না। 

বারির দাবী এই বেগুনটি খাদ্য হিসেবে নিরাপদ। কিন্তু মজার বিষয় হল তারা কিসের তথ্যের ভিত্তিতে এই দাবী করেছে??
তারা তো তাদের নতুন এই বিটি বেগুনের নিরাপদ কিনা তার কোন প্রকার পরীক্ষাই করেনি।
তাহলে তারা কি করে বুঝল এটি নিরাপদ????
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা বারির নেই।
যদিও বারি বলবে পুষ্টিগুণ পরীক্ষা করা হয়েছে। পুষ্টি আর নিরাপদ দুইটি দুই জিনিস। আর তর্কটা কোনভাবেই পুষ্টিগুণ নিয়ে নয়।

বারি যে গোজামিল দিয়েছে তার প্রমাণ খুবই স্পষ্ট। যেমন বারি সাথে চুক্তি হয় এই বেগুন বিষয়ক ২০০৫ সালে কিন্তু মজার বিষয় হল বারি যেসব নিরাপদ বেগুন বলে দাবীর ভিত্তিতে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তার বেশিভার তথ্যই ২০০৪ এবং ২০০৫ সালের তখন তো বারি কাজই শুরুই করেনি??? তাহলে বিটি বেগুণ (ফসল) পেল কি করে???
তারা চারটি ভিন্ন জাতের বেগুনের রিপোর্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে। যা আমাদের দেশের কিংবা বারি’র দাবীকৃত বিটি বেগুণই নয়। যদিও বারি’র আন-অফিসিয়াল দাবী এটি খুবই ব্যয়বহুল তাই পরীক্ষা করা হয়নি?

তাছাড়া বারি যে চুক্তি করেছে অন্য দুইটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাতে দেশের স্বার্থ কিভাবে বিক্রিয়ে দেওয়া হয়েছে তা দেখে সুস্পষ্ট ভাবেই বুঝা যায়। সেখানে দেশের কিংবা বারি’র স্বার্থ কোনভাবেই রক্ষা হয়নি। যদিও গণমাধ্যমে বারি’র দাবী মালিকানা আমাদের কিন্তু আমি চুক্তি সুস্পষ্টভাবে দেখেছি তা ঐ বিশেষ কোম্পানীর বলে লেখা আছে।

এই কথা সত্য যে এই পুরো প্রক্রিয়াটি বিশেষ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাই সকল প্রক্রিয়া শেষে বলা যায়। বিটি বেগুণ যতটা না গর্বের তারচেয়ে বেশি লজ্জার। বারি একটি আন্তজার্তিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান এই বিটি বেগুণ নামের গোজামিল কর্মের জন্য। আমাদের জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি সবই হুমকির মুখে।
আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্টানগুলো পৃষ্ঠপোষক আমাদের জনগণ। এই জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে। যারা সরকারকে ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে কিংবা করছে তাদের কে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা আমাদের আস্থা বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।